কলকাতা: আইএসএলের সেমিফাইনালের (ISL 2024) প্রথম লেগে অসাধারণ জয়ের পর এ বার ওডিশা এফসি-র (Odisha FC) সামনে একটাই লক্ষ্য, রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে (Mohun Bagan Supergiant) আটকে দিয়ে প্রথমবার আইএসএল ফাইনালে ওঠা। অর্থাৎ, বেশ কঠিন এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কলকাতায় পা রাখবে কলিঙ্গ বাহিনী। 


এই যুবভারতীতেই গত মরশুমে প্লে-অফের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে দু’গোলে হেরে ছিটকে গিয়েছিল ওডিশা এফসি। সে দিন রীতিমতো দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে ২-০-য় জেতে সবুজ-মেরুন বাহিনী। প্রথমার্ধে হুগো বুমৌস ও দ্বিতীয়ার্ধে দিমিত্রিয়স পেট্রাটসের গোলে সে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। 


অসংখ্য সুযোগ সে দিন পেয়েছিল কলকাতার দল। সারা ম্যাচে ছ’টি শট গোলে রাখেন পেট্রাটসরা। সেখানে ওডিশা একটির বেশি গোলমুখী শট নিতে পারেনি। মোট ১১টি গোলের সুযোগ তৈরি করে মোহনবাগান। দলের দুই উইঙ্গার মনবীর সিং ও লিস্টন কোলাসোই তিনটি করে সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু গোল পাননি।   


আক্রমণের মতো সে দিন রক্ষণেও যথেষ্ট তৎপরতা দেখায় তৎকালীন এটিকে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষের ধারালো ফরোয়ার্ড দিয়েগো মরিসিওকে বোতলবন্দী করে রাখে তারা। নন্দকুমার শেকর, ভিক্টর রড্রিগেজরাও বহুবার গোলের চেষ্টা করলেও বারবার তাঁরা আটকে যান প্রীতম কোটাল, স্লাভকো দামিয়ানোভিচ জুটির তোলা প্রাচীরে।


এ বার সবুজ-মেরুন রক্ষণে প্রীতমও নেই, দামিয়ানোভিচও নেই। আছেন শুভাশিস বোস, ব্রেন্ডান হ্যামিল, হেক্টর ইউস্তেরা। তাদের তৈরি রক্ষণের পাঁচিলে চিড় ধরিয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারবেন রয় কৃষ্ণা, দিয়েগো মরিসিওরা? এটাই এই মুহূর্তে কোটি টাকার প্রশ্ন। 


লিগের শেষ তিন ম্যাচের আগে চেন্নাইন এফসি-র কাছে হেরে যে রকম ধাক্কা খেয়েছিল মোহনবাগান, সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এক গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ওডিশার কাছে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে তারা। এক ধাক্কার পর তাদের টানা তিন ম্যাচে জয় (মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে জয়-সহ) যে ভাবে মোহনবাগানকে লিগ শিল্ড এনে দিয়েছিল, সে ভাবেই আর এক ধাক্কার পর তাদের নিজেদের মাঠে আটকানো যে বেশ কঠিন হবে, তা  জেনেই রবিবার নামবে সের্খিও লোবেরার দল। 


তাদের একটা ড্র হলেই চলবে। মোহনবাগানকে গোল করতে না দিলেই তারা ফাইনালের দরজা খুলে ফেলবে। অর্থাৎ শুরু থেকেই তাদের নিজেদের গোলের সামনে পাঁচিল তুলে রাখতে হবে। দলের মাঝমাঠ, উইংয়ের সঙ্গে দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, জেসন কামিংসদের যোগাযোগ বিচ্ছিন করে দিতে হবে। লোবেরার ক্ষুরধার মস্তিষ্কে যে এখন এই সবই চলছে, তা হলফ করে বলা যায়।                                                          তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল