কলকাতা: আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য সপ্তাহ দুয়েকের অবকাশের পর মাঠে ফেরার পালা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Supergiant)। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ চেন্নাইন এফসি, যারা অবকাশের আগেই হারিয়েছে লিগশিল্ডের আর এক দাবিদার ওডিশা এফসি-কে। লম্বা বিশ্রামের পর এ বার যদি তারা সবুজ-মেরুন বাহিনীকেও চাপে ফেলে দেয়, তা হলে তাদের লিগ শিল্ডের দৌড়ে বড়সড় ধাক্কা খেয়ে যেতে পারে কলকাতার দল।



কাজটা অবশ্য চেন্নাইনের পক্ষে খুব একটা সোজা হবে না। শুধু চেন্নাইন এফসি বলে নয়, লিগ পর্বে যে চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের, সেই চারটি ম্যাচে জেতাই এখন লক্ষ্য মোহনবাগান এসজি-র। দু’সপ্তাহের ছুটি যেমন চুটিয়ে উপভোগ করেছেন দলের বিদেশীরা, তেমনই অনুশীলনও করেছেন জমিয়ে। দলের আটজন খেলোয়াড় ভারতীয় শিবিরে ছিলেন। তাঁরাও ছিলেন অনুশীলন ও ম্যাচের মধ্যে। ফলে মাঝে অনেকগুলো দিন গেলেও মোহনবাগানের ছন্দে তার প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসও একই কথা বলেছেন।

নতুন বছরে এ পর্যন্ত যে আটটি ম্যাচ খেলেছে মোহনবাগান, তার মধ্যে চারটিতে ক্লিন শিট রাখতে পেরেছে তারা। তার আগে যে দশটি ম্যাচ খেলেছিল তারা, তার মধ্যে মাত্র দু’টিতে কোনও গোল খায়নি। বোঝাই যাচ্ছে ২০২৪-এ তাদের রক্ষণের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে ক্রমশ ধারালো হয়ে উঠেছে। তাছাড়া হাবাসের দলের গোলকিপার বিশাল কয়েথ সব মিলিয়ে চলতি লিগে ৩৬টি সেভ করেছেন, তাঁর সেভ পার্সেন্টেজ ৬১%।

রক্ষণে শুভাশিস বোস, হেক্টর ইউস্তে, আশিস রাই, আনোয়ার আলি-রা দলের কাছে যথেষ্ট ভরসার পাত্র হয়ে উঠেছেন। প্রয়োজনে মাঝমাঠ থেকে নেমে এসে প্রায়ই রক্ষণে যোগ দেন অনিরুদ্ধ থাপা, জনি কাউকো, অভিষেক সূর্যবংশী, দীপক টাঙরিরা। ফলে প্রতিপক্ষের প্রতি আক্রমণ সামলানোয় তাদের সফলই বলা যায়। রবিবার তাদের ঘরের মাঠে তাদের দুর্ভেদ্য দূর্গে চিড় ধরানো সোজা হবে না রাফায়েল ক্রিভেলারো, জর্ডন মারে, কোনর শিল্ডস, রহিম আলিদের পক্ষে।

চেন্নাইনের ডিফেন্ডারদের পক্ষে আরও কঠিন কাজ হবে মোহনবাগানের দুর্ধর্ষ আক্রমণ রোখা। দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, জেসন কামিংস, আরমান্দো সাদিকু, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং প্রত্যেকেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। পিছন থেকে তাঁদের আক্রমণ তৈরিতে সাহায্য করেন জনি কাউকো, অভিষেক সূর্যবংশীরা। আক্রমণের এই ঝাঁঝ সহ্য করা যে কোনও দলের ডিফেন্ডারদের কাছেই কঠিন হয়ে উঠেছে। সহাল আব্দুল সামাদ আপাতত চোটগ্রস্থ এবং সম্প্রতি ভারতীয় দলে থাকলেও তিনি খেলতে পারেননি। রবিবার ক্লাবের ম্যাচেও খেলতে পারবেন কি না, তা এখনও অনিশ্চিত।

গত পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হেরে আপাতত লিগ টেবলের ১১ নম্বরে রয়েছে দু’বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইন এফসি। ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট তাদের। খাতায় কলমে এখনও তাদের প্লে অফে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।                                                             তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল