নয়াদিল্লি: শুরুতে প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। খেলার ধরন পছন্দ হয়নি কারুর। তবে তাতে দলের খেলোয়াড় বা কোচের। খেলার ধরন নিয়েই যত প্রশ্ন উঠুক না কেন, উয়েফা ইউরো (UEFA Euro 2024) টুর্নামেন্ট যত গড়িয়েছে, ইংল্যান্ড ফুটবল দলের (England Football Team) খেলা ততই ক্ষুরধার হয়েছে। নেদারল্যান্ডসকে সেমিফাইনালে হারিয়ে নাগাড়ে দ্বিতীয় মহাদেশের সেরা হওয়ার দৌড়ে ফাইনালে খেতার যোগ্যতা অর্জন করেছে ইংল্যান্ড। জুড বেলিংহ্যাম (Jude Bellingham), বুকায়ো সাকা, ফিল ফডেনরা তৈরি করেছেন ইতিহাস।
থ্রি লায়ান্সের সামনে প্রথমবার দেশের মাঠের বাইরে বড় টুর্নামেন্ট জয়ের হাতছানি। ইংল্যান্ড মহাদেশের সেরা হতে পারবে কি না, সেটা সময়ই বলবে। তবে ইংল্যান্ড দলের একটি বিষয় কিন্তু দর্শকদের বেশ নজর কেড়েছে। দলের একাধিক ফুটবলারদের মোজা ছেঁড়া। আর সেই ছেঁড়া মোজা পরেই একের পর এক ম্যাচ খেলে চলেছেন ইংল্যান্ডের তারকারা। কিন্তু কেন? হঠাৎ ছেঁড়া মোজা পরে কেন মাঠে নামতে হচ্ছে বেলিংহ্যামদের?
ফুটবলাররা সর্বোচ্চ স্তরে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য নিজেদের শারীরিক দিক থেকে দারুণ যত্ন করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য ভাল খাবার থেকে নিয়মিত কসরত, সবই তাঁদের রোজনামচা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলারদের কাফের পেশি বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়। ফুটবলারদের ম্যাচের সময় জুতো মোজা পরেই নামতে নয়। তার সঙ্গে শিন প্যাড পরাটাও বাধ্যতামূলক। মাঠে যাতে খেলার সময় তাঁদের সমস্যা না হয়, সেই কারণে শিন প্যাড এবং জুতো যাতে বিশ্বমানের হয়, সেদিকে কিন্তু কড়া নজর রাখা হয়। তবে মোজার ক্ষেত্রে এই বিষয়টা খানিক অবহেলিতই হয়।
মোজায় বলিষ্ঠ কাফের পেশি এবং শিন প্যাড অনেক সময়ই ফুটবলারদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অত্যাধিক আঁটসাঁট মোজার ফলে তাঁদের পেশি স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারে না, ব্যাহত হয় স্বাভাবিক রক্ত চলাচলও। এই বিষয়টা যাতে না হয়, যাতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে, সেই কারণেই কিন্তু মোজা কাঁচি দিয়ে কেঁটে মাঠে নামা শুরু করেছেন একাধিক ফুটবলার। এই তালিকায় বেলিংহ্যাম, সাকারা তো রয়েইছেন, ব্রাজিলের রদ্রিগোর মতো তারকাদেরও একই পথ অনুসরণ করতে দেখা গিয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: তুঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা, অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে একাই হাজির