নিউ ইয়র্ক: জাতীয় দলের জার্সিতে কিছুদিন আগেই বলিভিয়ার বিরুদ্ধে ম্য়াচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এবার ক্লাব ফুটবলেও হ্যাটট্রিক করলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। মেজর সকার লিগে নিউ ইংল্যান্ডকে ৬-২ গোলে হারিয়ে দিল আমেরিকার ক্লাবটি। সেখানে হ্যাটট্রিক করলেন মেসি। ২ গোল করেন সুয়ারেজ। সবচেয়ে আশ্চর্যের প্রথমে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ইন্টার মিয়ামি (Inter Miami FC)।
মেজর সকার লিগে এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টার মিয়ামি এক নজিরও গড়ল। তাঁর এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ পয়েন্টে ঝুলিতে পুরে নিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে। এতদিন যে রেকর্ড ছিল নিউ ইংল্যান্ডের দখলেই। ২০২১ সালে এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৭৩ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরতে পেরেছিল তারা। এবার মেসিদের ঝুলিতে এখন ৭৪ পয়েন্ট। মেসিকে প্রথমার্ধে মাঠে নামাননি মিয়ামি কোচ মার্টিনো। এদিন খেলার শুরু থেকেই নিউ ইংল্যান্ডের প্লেয়াররাই দাপট দেখাচ্ছিলেন। বল পজিশনেও অনেক বেশি ছিল তাদের পক্ষে। খেলার ২ মিনিটের মাথায় গোল করেন নিউ ইংল্যান্ডের লুকা লাঙ্গোনি। এরপর খেলায় দুটো দলই আক্রমণ প্রতি আক্রমণ করতে থাকে। ঠিক সেই সময়ই ৩৪ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়িয়ে নিউ ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ডিলান বোরেরো। ইন্টার মিয়ামি তবে দ্রুত এই দু গোল শোধ করে দিয়েছিল। তার মূলে লুইস সুয়ারেজ। উরুগুয়ের কিংবদন্তি ফুটবলার প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার আগে প্রথমে ৪০ ও পরে ৪৩ মিনিটের মাথায় পরপর দুটো গোল করে খেলায় ফিরিয়ে আনেন মিয়ামিকে। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটের মাথায় মাঠে নামেন মেসি। খেলায় ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দেয় আমেরিকার ক্লাবটি। নিউ ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা মেসিকে মিডফিল্ডে সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন। খেলার ৫৮ মিনিটের মাথায় মিয়ামির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন বেঞ্চামিন ক্রিমাশ্চি। এরপর বাকি সময়টা শুধুই মেসির দাপট চলল। খেলার ৭৮, ৮১ ও ৮৯ মিনিটের মাথায় টানা তিনটি গোল করলেন আর্জেন্তাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। এরমধ্যে নিজের প্রথম ও শেষ গোলের ক্ষেত্রে সাহায্য পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। দ্বিতীয় গোলের সময় অ্যাসিসস্ট করেন জর্ডি আলবা।