জামনগর: তাঁকে অনেকে বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলে থাকেন । জোড়া কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Messi) ভারত সফরের ফাঁকেই গেলেন বনতাড়ায় । বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ও তাদের উন্নতির জন্য যে অভয়ারণ্য তৈরি করা হয়েছে । বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা ভারতে এলেই যেখানে হাজির হয়ে যান । যে অভয়ারণ্যে গেলে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির সঙ্গে তার সহাবস্থানের খাঁটি নির্যাস পাওয়া যায় ।
স্টেডিয়ামের বাইরে, সংবাদমাধ্যমের প্রচারের আলো থেকে দূরে থেকে মেসির বনতাড়া ভ্রমণ দুই সংস্কৃতির মিশ্রণ, বন্যপ্রাণের উন্নয়নে শামিল হওয়া এবং ভারতীয় সমাজের স্বাদগ্রহণের দলিল হয়ে রইল ।
ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার স্বাদ
বনতাড়ায় মেসির সঙ্গে ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় । পুজোপাঠ থেকে শুরু করে ধ্যান, মন্দিরের পবিত্রতা, প্রকৃতির বুকে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার মতো দুর্দান্ত সব অভিজ্ঞতা হয় আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের । সাধারণত দ্রুতগতির প্রবল ব্যস্ত জীবনধারায় অভ্যস্ত মেসির কাছে এটা বিরল এক অভিজ্ঞতা । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভারতের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের সরলতা মেসিকে ছুঁয়ে গিয়েছে । ভারসাম্য রক্ষা, মননশীলতা ও শ্রদ্ধা তাঁর মনে ছাপ ফেলেছে । ভারতীয়দের দৈনন্দিন জীবনে সংস্কৃতির আচার আচরণ কতটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে, তা বোঝা যায় ।
বনতাড়ায় বন্যাপ্রাণীদের জগৎ
বনতাড়া অভয়ারণ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের সঙ্গেও দীর্ঘ সময় কাটান মেসি । যে অভয়ারণ্যে উদ্ধার করা পশু-পাখিদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং পরিচর্যা করা হয় । বিভিন্ন প্রজাতির নানা ধরনের পশু-পাখি রয়েছে বনতাড়ায় । মেসিকে দেখা যায় পশুদের পরিচর্যাও করছেন । পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি । পশুদের পরিচর্যায় কত ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করা হয়, সেই ছবিও দেখেন মেসি । মানুষ ও বন্যপ্রাণের সহাবস্থান নিয়েও অভিজ্ঞতা লাভ করন মেসি ।
এর মাঝেই মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মানিকলালের । বনতাড়া অভয়ারণ্যের একটি হাতি, যে কি না ফুটবল ভালবাসে! মেসি তার দিকে ফুটবল পায়ে করে পাঠান । মানিকলালও সেই বলে শট করে ফেরত পাঠায় । খোশমেজাজে দেখ যায় মেসিকে । খেলাধুলো, আনন্দ, কৌতূহল, উষ্ণতার মেলবন্ধনের সাক্ষী থাকে বনতাড়া ।
প্রকৃতির বুকে সময় কাটিয়ে চনমনে মেসি । বনতাড়ায় তাঁর সফর ভারতীয় সংকৃতির পরশের পাশাপাশি শান্তি ও সংহতির বার্তাও দেয় ।