নয়াদিল্লি: অনূর্ধ্ব ২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের (SAFF U20 Championship) সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারতীয় দল। শুক্রবার নেপালের ললিতপুরে এ এন এফ এ কমপ্লেক্সে ভারতের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ালেন মাংলেনথাং কিপগেন (Manglenthang Kipgen)। মলদ্বীপের বিরুদ্ধে ম্যাচের সংযুক্ত সময়ের ৯৫ মিনিটের মাথায় গোল করে ভারতকে ম্যাচ জেতান তিনি। শেষ চারে পৌঁছে গেল ভারতীয় দল।
সোমবার প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়েছিল ভারত। ১-০ গোলে সেই ম্যাচে জিতেছিল ভারতের যুব দল। পরপর দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপ বি-র শীর্ষে থেকে শেষ করল ভারত। সোমবার, ২৬ অগাস্ট দুপুর পৌনে তিনটের সময় সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। যারা গ্রুপ এ তে রানার আপ হিসাবে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে।
গত বছর অনূর্ধ্ব ১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন কিপগেন। শুক্রবার মলদ্বীপের বিরুদ্ধে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে নামানো হয়। তাঁর গোলেই শুক্রবার মলদ্বীপ কাঁটা উপড়ে ফেলল ভারত। ২৫ গজ দূর থেকে তাঁর বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শট বিপ৭ের জালে জড়িয়ে যায়। গোটা ম্যাচে দুরন্ত খেলেছিলেন মলদ্বীপের গোলকিপার মহম্মদ ইয়ামিন। ভারতের একাধিক আক্রমণ প্রতিহত করে দেন তিনি। একটা সময় ভারতীয় স্ট্রাইকারদের সামনে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিলেন। তবে কিপগেনের গোলার মতো শটে তিনি পরাস্ত হন। ৯০ মিনিট কোনও গোল হজম না করলেও সংযুক্ত সময়ে হার মানেন তিনি। কিপগিনেরে বিস্ময় গোলের কোনও জবাব ছিল না তাঁর কাছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল ভারতের দাপট। গোটা মাঠ জুড়ে দাপট দেখিয়েছেন ভারতের ফুটবলাররা। প্রথম ম্যাচের তুলনায় অনেক নিখুঁত পাস খেলেছেন ভারতীয় ফুটবলাররা। আক্রমণে বাড়তি ঝাঁঝ তৈরি হচ্ছিল কোরু সিংহ থিঙ্গুজাম (Korou Singh Thingujam) এবং কেলভিন সিংহ তাওরেমের (Kelvin Singh Taorem) জন্য।
তাওরেম ভারতের হয়ে গোলে প্রথম শটটি নেন। সেই থেকেই ভারতের দাপট আরও বাড়ে। শেষ হাসি হাসে ভারতই।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা থেকে জোড়া পদক, ফের দেশকে গর্বের মুহূর্ত উপহার দিলেন বঙ্গকন্যা সুস্মিতা