বার্লিন: অবশেষে তিনি থামলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক ম্য়ানুয়েল ন্যয়ার। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন দেশের জার্সিতে। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় এক ভিডিও পোস্টে অবসরের কথা জানিয়েছেন ৩৮ বছরের এই অভিজ্ঞ গোলরক্ষক। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তায় ন্যয়ার জানিয়েছেন, ''এই দিনটা একসময় আসতই। জার্মানির জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে আজ আমার কেরিয়ার শেষ হল। যাঁরা আমাকে চেনেন, তাঁরা প্রত্যেকে জানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার জন্য সহজ ছিল না।''


ক্লাব ফুটবলে বায়ার্ন মিউনিখের এই অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আরও বলেন, ''আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে আমার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল। এরপর আমার কেরিয়ারে অনেক ওঠাপড়া গিয়েছে। কিন্তু কেরিয়ারের সবচেয়ে আলোকজ্জ্বল অধ্যায় ছিল ব্রাজিলের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতা। এই দলের অধিনায়ক হিসেবে ৭ বছর দায়িত্ব সামলেছিলাম। যা নিয়ে আমি গর্বিত। তবে সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে থাকার মুহূর্তগুলো ভীষণ মিস করব।''


 






দেশের জার্সিতে ১২৪টি ম্য়াচ খেলেছেন মোট। গত কয়েক বছর ধরে চোট আঘাত বারবার সমস্যায় ফেলছিল ন্য়য়ারকে। তবুও চোট সারিয়ে গত ইউরো কাপে খেলতে নেমেছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধে হেরে যায় জার্মান শিবির। ন্যয়ার বলছেন, ''ঘরের মাঠে এবার ইউরো খেলতে নেমেছিলাম। চোট সারিয়ে ফিরে এসেছিলাম। আমার সঙ্গে ফেডারেশনের প্রত্যেকে ছিল। আমরা একটা পরিবারের মত ছিলাম। ভক্তদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। তাঁরা সবসময় আমাকে সমর্থন করে গিয়েছেন।''


আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিলেও ক্লাব ফুটবলে হয়ত দেখা যাবে ন্যয়ারকে। বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে ক্লাব ফুটবলে খেলে থাকেন ন্যয়ার। তাদের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি রয়েছে ন্যয়ারের। সেক্ষেত্রে হয়ত ক্লাব ফুটবলে আরও কিছুদিন দেখা যাবে তাঁকে। 


এর আগে, ১৯ অগাস্ট নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুন্দোয়ান আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ২০১১ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটানোর পর থেকে দেশের হয়ে ৮২ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন গুন্দোয়ান, যা তাঁর কল্পনাতীত ছিল বলেই জানান তারকা মিডফিল্ডার। তিনি লেখেন, 'প্রিয় জার্মান সমর্থকরা। বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে ভাবনাচিন্তার পর আমি জাতীয় দলের সঙ্গে আমার সফর শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার দেশের জার্সি গায়ে ৮২টি ম্যাচ খেলা আমার কাছে বিরাট গর্বের। ২০১১ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটানোর সময় এই সংখ্যাটা আমরা কল্পনারও বাইরে ছিল। গত মরশুমে দেশের মাটিতে আয়োজিত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দলের অধিনায়কত্ব করাটা আমার কেরিয়ারের সবথেকে উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত। এই সফরের অংশ হওয়া এবং দেশকে গর্বিত করতে পারায় আমি খুব খুশি।'