লখনউ: বাংলা ফুটবলের ২ সেরা ক্লাবের মুখোমুখি মহারণ এবার লখনউয়ের মাঠে। ৬৯ বছর পর লখনউয়ের কে ডি সিংহ বাবু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ময়দানে ২ সেরা ক্লাব। এর আগে ডুরান্ড কাপের ডার্বি বাতিল হয়েছিল আর জি কর ইস্যুতে শহরের উত্তাল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে। তবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে ইস্ট-মোহন (East Bengal FC vs Mohun Bagan Supergiant) দ্বৈরথ হতে চলেছে ২ সেপ্টেম্বর। দেশব্যাপী বিভিন্ন মাঠে এই দুই দল পরস্পর মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু এই প্রথমবার লখনউয়ের মাঠে খেলতে নামবে লাল হলুদ ও সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
১০৪ বছরের ক্লাবের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনওদিন উত্তরপ্রদেশের রাজধানীতে খেলতে ইস্টবেঙ্গল। অন্য়দিকে মোহনবাগান ক্লাব ১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তারাও ৬৯ বছর পর লখনউয়ে কোনও ম্য়াচ খেলতে নামতে চলেছে। শেষবার ১৯৫৫ সালের ৩০ জুন লখনউ একাদশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। ম্য়াচটি ১-১ ড্র হয়েছিল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ''খেলাধূলোর জগতে লখনউ এক সমৃদ্ধশালী শহর। এখান থেকেই অনেক নামকড়া ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের উত্থাণ হয়েছে। হকিতে কিংবদন্তি কেডি সিংহ বাবু, তারকা অ্যাথলিট হেনরি রেবেল্লো ও ব্যাডমিন্টনে কিংবদন্তি সৈয়দ মোদিরা রয়েছেন। এবার ফুটবল পা রাখতে চলেছে এই শহরে। যেখানে দেশের ২টো ঐতিহাসিক ক্লাব, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব পরস্পর মুখোমুখি হতে চলেছে। আগামী সোমবার ২ সেপ্টেম্বর ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্য়াচ হতে চলেছে কে ডি সিংহ বাবু স্টেডিয়ামে।''
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ২ ফুটবল ক্লাবের মহারণই যে শহরের ফুটবলের উত্তাপ বাড়িয়ে দেবে, তা নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। এই ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে গত ৮ আগস্ট উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সল্টলেক স্টেডিয়ামের বাইরে ডার্বি ম্যাচ যেদিন হওয়ার কথা ছিল, সেই ১৮ অগাস্ট বেনজির প্রতিবাদ করেছিল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান জনতা। ছিলেন মহমেডানের সমর্থকেরাও। এবার কলকাতার রাজপথে মিছিল করলেন কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার, ডার্বি বাতিলের ১১ দিনের মাথায় আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে কলকাতায় মিছিল করলেন লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন ও সাদা-কালো শিবিরের সমর্থকরা। মাঠের যুযুধান প্রতিপক্ষরা 'পথের দাবি' ব্যানারে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করলেন।