কলকাতা: ডার্বি বাতিল করেও প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করা গেল না। ফের কলকাতায় সেই বিরল দৃশ্য। বৈরিতা ভুলে রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটলেন কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকেরা। ফের প্রতিবাদের সরণিতে মিলে মিশে গেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan) ও মহমেডান (Mohammedan) জনতা।


প্রতিবাদের ঢেউ সব ওলট পালট করে দিতে পারে, সেই ভয়ে সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ডার্বি বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। ডুরান্ড কাপের আয়োজকেরা জানিয়েছিলেন, নিরাপত্তা দিতে পারবে না জানিয়েছে পুলিশ। বলা হয়েছিল, গোটা শহরে এত প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে যে, পুলিশ সব সামাল দিতে গিয়ে তুমুল ব্যস্ত। ফুটবল ম্যাচের নিরাপত্তার দায়িত্ব আর নিতে পারবে না। যদিও মনে করা হয়েছিল, ডুরান্ড ডার্বিতে দুই প্রধানের সমর্থকেরা শত্রুতা ভুলে যেভাবে আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে স্লোগানে, ব্যানারে, টিফোয় গ্যালারি ভরিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেটা রুখতেই ম্যাচ বাতিলের পদক্ষেপ করা হয়।


কিন্তু তাতেও কি প্রতিবাদের কণ্ঠ পুরোপুরি রোধ করা গেল? সল্ট লেক স্টেডিয়ামের বাইরে ডার্বি ম্যাচ যেদিন হওয়ার কথা ছিল, সেই ১৮ অগাস্ট বেনজির প্রতিবাদ করেছিল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান জনতা। ছিলেন মহমেডানের সমর্থকেরাও। এবার কলকাতার রাজপথে মিছিল করলেন কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকেরা।


বৃহস্পতিবার, ডার্বি বাতিলের ১১ দিনের মাথায় আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে কলকাতায় মিছিল করলেন লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন ও সাদা-কালো শিবিরের সমর্থকরা। মাঠের যুযুধান প্রতিপক্ষরা 'পথের দাবি' ব্যানারে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করলেন। কারও পরনে লাল-হলুদ জার্সি, কেউ পরেছিলেন সবুজ মেরুন বা সাদা কালো জার্সি। অনেকেরই হাতে জাতীয় পতাকা। মুখে স্লোগান, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস।'


শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলা থেকেও এসেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। মিছিলে পা মেলান সকলে মিলে। আর জি কর কাণ্ডের দ্রুত নিষ্পত্তি আর অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে মিলে মিশে একাকার তিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সমর্থকেরা।