কলকাতা: আইএসএলে মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giant) সবচেয়ে বড় কাঁটা কারা?
যে কোনও আদ্যোপান্ত সবুজ-মেরুন সমর্থককে প্রশ্ন করুন। উত্তর শুনলে অবাক হতে পারেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) নয়, মোহনবাগান (MBSG vs Mumbai City FC) অনুরাগীরা হয়তো উল্লেখ করবেন মুম্বই সিটি এফসি-র নাম। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে লড়াইটা অনেকটাই সম্মানের। সেখানে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের দ্বৈরথ নিজেদের প্রমাণ করারও। রেকর্ডবুকও যে কথা বলছে।
শুক্রবারের আগে পর্যন্ত ১২ বার একে অন্যের মুখোমুখি হয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট জিতেছে মাত্র দুবার। দুই দলের ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। বাকি সাতবারই হেরেছে মোহনবাগান।
শুক্রবার রেকর্ড কিছুটা উন্নত করার সুযোগ ছিল সবুজ মেরুন শিবিরের কাছে। ঘরের মাঠে, সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা করতে পারল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল হজম করে জেতা ম্যাচ ড্র করল সবুজ মেরুন শিবির। আইএসএলের প্রথম ম্য়াচেই পয়েন্ট নষ্ট করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল মুম্বই সিটি এফসি-র। কিক অফের ৪ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন জন তোরাল (Jon Toral)। তবে অফসাইডের জন্য সেই গোলটি বাতিল হয়।
খেলার গতির বিরুদ্ধে ৯ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগানই। সবুজ মেরুন শিবিরের ফ্রি কিক রুখতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসে মুম্বই সিটি এফসি। লিস্টন কোলাসোর ক্রস তিরির শরীরে লেগে গোলে ঢুকে যায়। ২৮ মিনিটে মোহনবাগানের অ্যালবার্তো রদ্রিগেজ ২-০ করে দেন। প্রথমার্ধের শেষে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৭০ মিনিটের মাথায় যেন প্রায়শ্চিত্ত করেন তিরি-ই। গোল করে ব্যবধান কমান তিনি। নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ লগ্নে গোল করে ২-২ করেন ক্রোমা।
২ গোলে এগিয়ে থেকেও কার্যত জেতা ম্যাচ ড্র করল মোহনবাগান। গতবারের দুই ফাইনালিস্ট দল ১ পয়েন্ট করে নিয়ে মাঠ ছাড়ল।
আরও পড়ুন: NCA-এ কী করছেন মনোজ তিওয়ারি? বড় পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার