কলকাতা: দু’বার পিছিয়ে গিয়েও দু’বারই সমতা আনার পর নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র (North East United FC) হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Supergiant)। সোমবার কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের দর্শকেরা দেখলেন ফুটবলের এক অসাধারণ যুদ্ধ, যার শেষ হাসি হাসলেন তাদেরই প্রিয় দলের তারকারা। দুই প্রতিবেশী রাজ্যের দলের মধ্যে লড়াইয়ে উত্তেজনার পারদ ওঠে চরমে। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে কেউ জিততে পারে এই ম্যাচ। কিন্তু ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার জেসন কামিংসের গোলে চলতি আইএসএলের প্রথম জয় ছিনিয়ে নেয় গতবারের শিল্ডজয়ীরা।
দুই দলই এ দিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে। কয়েক সপ্তাহ আগেই ডুরান্ড কাপ ফাইনালেও যে রকম লড়াই হয়েছিল, এ দিন তার চেয়েও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় দুই পক্ষকেই। প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই দুই দলই গোল পায়। চার মিনিটের মাথায় মরক্কান মিডফিল্ডার মহম্মদ আলি বেমামের ও তার পাঁচ মিনিট পরেই বাংলার তরুণ ডিফেন্ডার দীপ্পেন্দু বিশ্বাস দুর্দান্ত গোল করে ১-১ করে ফেলেন। ২৪ মিনিটের মাথায় আর এক মরক্কান আলাদ্দিন আজারেই দলকে ফের এগিয়ে দেন।
বিরতির পর ৬১ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের অধিনায়ক, আর এক বঙ্গসন্তান শুভাশিস বোস ফের সমতা আনেন এবং শেষে কামিংসের গোলে তাদের সেই মরিয়া লড়াই সফল হয়। গত ম্যাচে প্রায় জেতা ম্যাচ হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন বাহিনীর। এ বার প্রতিপক্ষের হাত থেকে ম্যাচ বের করে এনে মরশুমের প্রথম জয় অর্জন করল তারা। এই জয়ের ফলে লিগ টেবলের চার নম্বরে উঠে এল তারা।
এ দিন টম অ্যালড্রেড, অনিরুদ্ধ থাপা ও মনবীর সিংকে প্রথম দলে নিয়ে আসে মোহনবাগান এসজি। গত ম্যাচের প্রথম এগারো থেকে অভিষেক সূর্যবংশী ও জেসন কামিংসকে বাইরে রাখা হয়। আলবার্তো রড্রিগেজ চোটের জন্য স্কোয়াডে ছিলেন না। পেট্রাটস, স্টুয়ার্ট ও কোলাসোকে সামনে রেখে ৩-৪-২-১-এ দল সাজান তাদের কোচ হোসে মোলিনা।
মোহনবাগান এসজি দল (৩-৪-২-১): বিশাল কয়েথ (গোল), আশিস রাই, টম অ্যালড্রেড, দীপ্পেন্দু বিশ্বাস, মনবীর সিং (জেসন কামিংস-৫৯), আপুইয়া, অনিরুদ্ধ থাপা (সহাল আব্দুল সামাদ-৫৯), শুভাশিস বোস, গ্রেগ স্টুয়ার্ট (দীপক টাঙরি-৯২), লিস্টন কোলাসো, দিমিত্রিয়স পেট্রাটস (জেমি ম্যাকলারেন-৭৮)। তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল