দোহা: আজ থেকে শুরু হতে চলেছে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। প্রথম ম্যাচে ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়া নামতে চলেছে। অন্যদিকে গভীর রাতে মাঠে নামতে চলেছে আর্জেন্তিনা। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ পর্বে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হারের পর জয়ের সরণিতে ফিরেছেন মেসিরা। 


 


কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্তিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ কবে?
আজ ৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে মানে ভারতীয় সময় ১০ ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্তিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ হবে।


কোথায় হবে খেলা?
কাতারের লুসেইল স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় কােয়ার্টার ফাইনাল।


কখন শুরু হবে আর্জেন্তিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ?


ভারতীয় সময় অনুসারে ১০ ডিসেম্বর রাত ১২.৩০-এ খেলা শুরু হবে।


কোথায় দেখা যাবে আর্জেন্তিনা বনাম নেদারল্যান্ডস এই ম্যাচটি?


স্পোর্টস ১৮-তে দেখা যাবে এই খেলা। 


অনলাইনে কীভাবে দেখবেন এই ম্যাচ?
অনলাইনে জিও সিনেমায় দেখা যাবে লাইভ ম্যাচ।


পেলেকে পিছনে ফেলার হাতছানি


নেমার ও মেসি উভয় তারকাই ইতিমধ্যেই চলতি বিশ্বকাপে গোল করে ফেলেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে দুই তারকাই যদি জোড়া গোল করতে পারেন, তাহলে উভয়েই ভিন্ন ভিন্ন রেকর্ড গড়ে ফেলবেন। ৩০ বছর বয়সি নেমার ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১২৩টি ম্যাচে ৭৬টি গোল করেছেন। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করলেই, পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড ভেঙে নেমারই সেলেসাওয়ের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাবেন। অপরদিকে, মেসির সামনেও জোড়া গোল করে নতুন নজির গড়ার হাতছানি।


মেসি এখনও বিশ্বকাপে ২৩ ম্যাচ খেলে নয়টি গোল করেছেন। তিনি নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করলেই আর্জেন্তিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাবেন। এখনও পর্যন্ত গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা লা আলবিসেলেস্তের হয়ে বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছেন। মেসির সামনে তাঁকে ছাপিয়ে যাওয়ার হাতছানি রয়েছে। প্রসঙ্গত, ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা উভয় দলই নিজেদের ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে। সেমিফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হতে পারে দুই দল। 


ম্যাচের আগেই আর্জেন্তাইন শিবিরে চোট আশঙ্কা। অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া এখনও মাঠে নামতে পারবেন কি না, সেই নিয়ে কোনওরকম নিশ্চয়তা নেই। উপরন্তু, কোয়ার্টারে রদ্রিগো দি পলের (Rodrigo de Paul) মাঠে নামা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। ম্যাচের আগে দলের তারকাদের চোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খানিক ক্ষুব্ধই হলেন আর্জেন্তাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি (Lionel Scaloni)।