দোহা: মাঠে হাজির হাজার ষাটেক দর্শকের সিংহভাগই তখন হতাশায় মুখ ঢেকেছে। গ্যালারিতে শুধু ইকুয়েডরের সামান্য কিছু সমর্থকের উচ্ছ্বাস।
ম্যাচ শুরু হয়েছে আড়াই মিনিটও হয়নি। কিক অফের ২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের মাথায় গোল ইকুয়েডরের। কাতার শিবিরে অন্ধকার নামিয়ে। রেফারি দৌড়লেন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে। ভার-এর সাহায্যে দেখা গেল, গোলটি অফসাইড। বাতিল করলেন রেফারি। ফের গ্যালারিতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ঘরের দলের জন্য গর্জন আরও যেন জোরাল হল।
যদিও সেই ছবি স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় ফের ধাক্কা কাতারকে। এবার সেন্টার লাইন থেকে এস্ত্রাদার উদ্দেশে বল বাড়ালেন কাইসেডো। সেই বল গেল ভ্যালেন্সিয়ার উদ্দেশে। বিদ্যুতের গতিতে বক্সে ঢুকছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। সামনে তখন শুধু গোলকিপার। তিনি ফাউল করলেন। পেনাল্টি দিলেন রেফারি। গোল করে দলকে ১-০ এগিয়ে দিলেন ভ্যালেন্সিয়া।
৩১ মিনিটের মাথায় ফের গোল ভ্যালেন্সিয়ার। কাতারের রক্ষণ ভেঙে ঢুকে পড়েন কাইসেডো। কিন্তু কাতার রক্ষণে শেষ মুহূর্তে বাধাপ্রাপ্ত হন। সেই সময়ই ডান দিকে উঠে আসছিলেন পারসিয়াডো। তিনি বল ধরে বক্সের মাঝ বরাবর ক্রস বাড়ান। এস্ত্রাদা সেই বল সঠিক নিশানায় পাঠাতে ব্যর্থ হলেও, ভুল করেননি ভ্যালেন্সিয়া। মাপা হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন।
প্রথমার্ধেই ২-০ এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। সেই ব্যবধান আর কমাতে পারেনি কাতার। ২-০ গোলে পরাজয় হজম করতে হয় প্রথম ম্যাচে। কাতারের গোলকিপার আল শিবের জন্য একটি পেনাল্টি হজম করতে হলেও, বেশ কয়েকবার নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন তিনি। তা নাহলে আরও বড় লজ্জার মুখে পড়তে হত আয়োজক দেশকে।
এদিন একটি লজ্জার রেকর্ডও গড়ে ফেলল কাতার। এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনও আয়োজক দেশ উদ্বোধনী ম্যাচে হেরে গেল।