ওয়েম্বলি: রেকর্ড ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নিল রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid)। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল লস ব্ল্যঙ্কোসরা। রিয়ালের হয়ে জয়সূচক ২টো গোল করেন ড্যানি কার্ভাহাল ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র। প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুটো গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ২ রিয়াল তারকা।


ওয়েম্বলি রিয়ালের ঘরের মাঠ। কিন্তু শনিবার ফাইনালের রাতের শুরুটা একেবারেই রিয়ালের দারুণভাবে শুরু হয়নি। জার্মান ক্লাবটি বারবার প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছিল। খেলা কিছুক্ষণ গড়াতেই মাঠে হঠাৎ এক সমর্থক ঢুকে পড়ায় ছন্দ কিছুটা নষ্ট হয়। ধারেভারে বরুসিয়ার থেকে ঢের এগিয়ে রিয়াল। তবে প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেননি কোনও রিয়াল তারকাই। খেলার ২০ মিনিটের মাথায় ম্য়াট হামালস একটা থ্রু দিয়েছিলেন। সেখান থেকে বরুসিয়ার করিম আদেমির কাছে সুবর্ণ সুযোগ ছিল গোল করার। রিয়ার গোলরক্ষক কুর্তোয়াকে পাস কাটিয়ে বল জালের দিকে ঠেলে দিতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন বরুসিয়া তারকা। বিপদসীমা থেকে বল সরিয়ে দেন কার্ভাহাল। ২৩ মিনিটের মাথায়ও একটি শট ভেতরের পোস্টে লেগে ফেরত আসে। খেলার ৩৫ মিনিটের মাথায় মাদ্রিদের ভিনিসিয়াস হলুদ কার্ড দেখেন। তবে শেষ পর্যন্ত গোল করতে পারেনি কোনও দলই।  গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। 


দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হতেই চাপ বাড়াতে থাকে রিয়াল। খেলার ৫৭ মিনিটের মাথায় কার্ভাহালের শট আটকে দেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক। এরপরও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল রিয়াল, কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারেনি তারা। ৭৪ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় লস ব্ল্যাঙ্কসরা। কর্নার থেকে শট নেন টনি ক্রুস। সেখান থেকে হেডে গোল করেন কার্ভাহাল। রিয়ালের জার্সিতে শেষ ম্য়াচ খেলতে নেমেছিলেন ক্রুস। নিজের অবদানও রেখে গেলেন। এরপর ৮৩ মিনিটের মাথায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র গোল করেন। এরপর আর কোনও গোল হয়নি। 


১৯৫৬ সাল থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হয়। এরপর টানা পাঁচবছর জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রিয়াল। ১৮ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে ১৫ বার জয় ছিনিয়ে নিল লস ব্ল্যাঙ্কােসরা। ১৯৮১ সালের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলে সেই ম্য়াচে হারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ ১০ বছরেও ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হলেন রিয়াল মাদ্রিদ।