কল্যাণী: সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) বাছাই পর্বে বাংলার ফুটবল দলের দাপট চলছে। কল্যাণী স্টেডিয়ামে গোলের বন্যা বাংলার। সোমবার সন্তোষ ট্রফির বাছাই পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তর প্রদেশকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করল বাংলা।
শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলেন বাংলার ফুটবলাররা। ৮ মিনিটে মনোতোষ মাজি প্রথম গোলের মুখ খুলে দলকে এগিয়ে দেন। ১১ মিনিটেই দলের দ্বিতীয় গোল রবি হাঁসদার। তার পর থেকে গোল করার ক্ষেত্রে রবি ও মনোতোষ এর যুগলবন্দি শুরু হয়। যার সুবাদে বিরতির আগেই ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলা।
বিরতির পর খেলা শুরু হতেই আবার গোলের ঝড় শুরু বাংলার । ৪৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন রবি হাঁসদা। শেষ পর্যন্ত খেলার ফলাফল বাংলার পক্ষে দাঁড়ায় ৭-০।
এর আগে সোমবার সকালে অন্য ম্যাচে ঝাড়খণ্ড ৫-৩ গোলে বিহারকে হারায়। টানা দুই ম্যাচে জয়ের ফলে বাংলা এখন গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে। বুধবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে বাংলা মুখোমুখি হবে বিহারের।
বাংলার দাপটের নেপথ্যে অনেকেই কোচ সঞ্জয় রায়কে কৃতিত্ব দিচ্ছেন। অনেকে বলেন, অমল দত্ত, সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য পরবর্তী যুগে বাংলার অন্যতম সেরা ফুটবল মস্তিষ্ক সঞ্জয় সেনই। তাঁর ম্যাচের কৌশল, গেম রিডিং, বাঙালি ফুটবলারকে তুলে আনার কৃতিত্ব - সব মিলিয়ে কোচ হিসাবে সকলেই তাঁকে সম্ভ্রম করেন। আইএসএলে কোচিং করানোর জন্য চাকরি থেকে অবসর নিয়ে প্রো লাইসেন্স সম্পূর্ণ করেছিলেন। কিন্তু আইএসএলের কোনও দলেই কোচিংয়ের সুযোগ পাননি। সেই সঞ্জয় রায় বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি জেতানোর পরীক্ষায় বসেছেন কল্যাণীতে।
সোমবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে সন্তোষ ট্রফির বাছাই পর্বে বাংলা ৭–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর প্রদেশকে। প্রথম ম্যাচে ঝাড়খণ্ডকে ৪-০ গোলে হারানোর পর সোমবার ফের বড় জয়ের পর গ্রুপের শীর্ষেই রইল বাংলা। গ্রুপের সেরা হয়ে মূল পর্বে ওঠাই লক্ষ্য সঞ্জয় সেনের। শেষ ম্যাচে বিহারের বিরুদ্ধে ড্র করলেই বাংলা পরের বছর হায়দরাবাদে ১২ দলের টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নেবে।
আরও পড়ুন: আইপিএল নিলামের আগে বাংলার হয়ে টি-২০-ও খেলবেন শামি, সৈয়দ মুস্তাক আলিতে অধিনায়ক কে?