কলকাতা: ফুটবলার নন, কর্মকর্তা হিসাবে মোহনবাগান রত্ন পেয়েছিলেন ধীরেন দে। কিংবদন্তি ফুটবল প্রশাসককে ২০০৭ সালে মোহনবাগান রত্ন (Mohun Bagan Ratna) দিয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির। এবার ফের এক ফুটবল প্রশাসকের হাতে উঠতে চলেছে এই সম্মান। তিনি, স্বপনসাধন বসু। ওরফে টুটু বসু।
তবে ফুটবল প্রশাসক হিসাবে তিনি একা নন, আরও এক কর্তাকে মোহনবাগান রত্ন দিচ্ছে সবুজ-মেরুন ক্লাব। ২০২৫ সালের জন্য মোহনবাগান রত্ন পাচ্ছেন টুটু বসু। ২০২৬ সালের সেই সম্মান দেওয়া হবে প্রয়াত অঞ্জন মিত্রকে। শনিবার ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবারের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের সচিব সৃঞ্জয় বসু ও সভাপতি দেবাশিস দত্ত। তাঁরাই এই ঘোষণা করেন। আগামী ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে টুটু বসুকে এই সম্মানে ভূষিত করা হবে। পরেরবার মোহনবাগান দিবসে এই সম্মান পাবেন অঞ্জন মিত্র।
শনিবারের কর্মসমিতির সভায় মোহনবাগান রত্ন হিসেবে টুটু বসুের নাম প্রস্তাব করেন সভাপতি দেবাশিস দত্ত। কমিটি সেই প্রস্তাব সমর্থন করে। পরে ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বসু জানান, মোহনবাগান দিবস নিয়ে বাকি সিদ্ধান্তগুলো এখনও নেওয়া হয়নি। ১১ জুলাইয়ের পরবর্তী সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এবারের মোহনবাগান দিবস আয়োজিত হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সকালে প্রাক্তনদের মধ্যে একটি ফুটবল ম্যাচ হবে ক্লাবের মাঠে। সৃঞ্জয় বলেন, 'মোহনবাগান ক্লাবের জন্য টুটু বসুর যা অবদান, তাতে এই সম্মান ওঁর প্রাপ্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে কর্মসমিতির কাছে কৃতজ্ঞ।' প্রসঙ্গত, সৃঞ্জয় সম্পর্কে টুটু বসুর পুত্র।
১৯৯১ সালে প্রথমবার মোহনবাগান ক্লাবের সচিব হন টুটু বসু। পরে তিনি ক্লাবের প্রেসিডেন্টও হন। তিনি পদে থাকাকালীন মোহনবাগান ক্লাবে কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদেশি প্লেয়ার সই করানো থেকে শুরু করে ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি, ২০২০ সালে আরপিএসজি গ্রুপের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে ক্লাবের গাঁটছড়া বাঁধা - সবেতেই পথ প্রদর্শক তিনি।
দীর্ঘদিন মোহনবাগান ক্লাবের প্রশাসনে ছিলেন অঞ্জন মিত্র। ১৯৯৫ সালে মোহনবাগান ক্লাবের প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। পরে ক্লাবের সচিবও হন। টুটু বসুর সঙ্গে ছিল সুসম্পর্ক। পরে অবশ্য সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। ২০১৯ সালে তিনি প্রয়াত অঞ্জন। ২০২৬ সালে মরণোত্তর মোহনবাগান রত্ন সম্মানে ভূষিত করা হবে তাঁকে।
এবার মোহনবাগান নির্বাচনের আগে সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান টুটু বসু। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এই মুহূর্তে কোনও পদে নেই।