বুয়েনস আইরেস: ব্য়ক্তিগত কীর্তির কথা ধরলে, বিশ্ব ফুটবলের হেন কোনও রেকর্ড নেই যা তাঁর অধরা। ব্যালঁ ডি অর থেকে শুরু করে বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল, সবই রয়েছে তাঁর সাফল্যের ঝুলিতে। বার্সেলোনার জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে শুরু করে লা লিগা, সবই জিতেছেন।


তবু অতৃপ্তি নিয়েই ফুটবল মাঠে নামেন লিওনেল মেসি। জাতীয় দলের জার্সিতে যে তাঁর বড় কোনও ট্রফি নেই। আর্জেন্তিনার হয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছেন, কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেছেন, কনফডারেশনস কাপ খেলেছেন। কিন্তু প্রত্যেকবারই খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার হতাশায় আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তবে অবসর ভেঙে ফের মাঠে ফিরেছেন মেসি। এবার তাঁর সামনে অধরা কোপা আমেরিকা জয়ের হাতছানি। দু'সপ্তাহ পরেই দক্ষিণ আমেরিকার সেরার শিরোপা পাওয়ার যুদ্ধে নামছেন। মেসি আর্জেন্তিনার প্রস্তুতি শিবিরেও যোগ দিয়েছেন।


প্র্যাক্টিসের ফাঁকে আর্জেন্তিনা ফুটবল দলের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, 'আমি ভীষণ উত্তেজিত। সব কিছু সঠিকভাবে করা চেষ্টা করব।' ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে দুরন্ত লড়াই করেও জার্মানির কাছে পরাজয়। ২০১৫ ও ২০১৬, পরপর দুটি কোপা আমেরিকায় রানার আপ হয়েছিল আর্জেন্তিনা। আর শেষ কোপা আমেরিকায়, ২০১৯ সালে তৃতীয় স্থানে সেষ করেছিল। এবার ট্রফি জিততে মরিয়া মেসিও। বলেছেন, 'গত কোপা আমেরিকায় আমরা একটা ছাপ ফেলতে পেরেছিলাম। তবে শুধু সেটা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, দল হিসাবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচগুলির শেষ কয়েকটিতে খুব ভাল খেলেছিলাম। তবে সেটা বেশ কিছুদিন আগে আর অনেকদিন পর দল হিসাবে আমরা একত্রিত হয়ে ফের মাঠে নামছি।'


আসন্ন কোপা আমেরিকা আগেই কলম্বিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আর্জেন্তিনাতেও হচ্ছে না টুর্নামেন্ট। মেসি অবশ্য পাখির চোখ করছেন ট্রফিকে। বাকি বিষয় নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। বলেছেন, 'জাতীয় দলের হয়ে মাঠে লড়াই করতে পারাটা আমার কাছে সবসময়ই উত্তেজক বিষয়। যে ম্যাচই হোক, সব সময় জয়ের জন্য মরিয়া থাকি। লক্ষ্য সব সময় একই থাকে। দলের নবীণতম সদস্যের মতোই বা হয়তো বেশিই রোমাঞ্চ অনুভব করে প্রবীণতম সদস্যও। স্কালোনি কোচিং শুরু করার পর থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ একটা দল।'


টানা ১১ ম্য়াচ অপরাজিত আর্জেন্তিনা। কোপা আমেরিকার আগে বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বে চিলে ও কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে হবে মেসিদের। যা নিয়ে আর্জেন্তিনা অধিনায়ক বলছেন, 'দুটো ম্যাচই কঠিন। সকলের জীবনেই একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। আমাদের জীবনের স্বাভাবিকত্ব নষ্ট হয়েছে। তবে দল হিসাবে আমরা ধীরে ধীরে জমাট বাঁধছি।'