ম্যাঞ্চেস্টার: এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। কাছাকাছি আছেন ব্রাজিলের তারকা নেমার জুনিয়র। তবে সেরা ফুটবলারের লড়াই চলছে মেসি ও রোনাল্ডোর মধ্যেই। তাঁদের মধ্যে কে সেরা, সেটা বলা কঠিন। আয়ের নিরিখে অবশ্য মেসিকে টেক্কা দিলেন রোনাল্ডো। তিনিই এখন ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করছেন। দ্বিতীয় স্থানে মেসি। তিন নম্বরে নেমার। বাকিরা অনেক পিছিয়ে।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ফুটবলারদের মধ্যে বার্ষিক আয়ের নিরিখে প্রথম ১০ জনের মধ্যে যাঁরা আছেন, এ বছর তাঁদের মোট আয় ৫৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর প্রথম ১০ জন হায়েস্ট পেইড ফুটবলারের মিলিত আয় ছিল ৫৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ক্লাব থেকে পাওয়া বেতন ও বোনাস মিলিয়ে মোট ৪১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন প্রথম ১০ জনের মধ্যে থাকা ফুটবলাররা। করোনা আবহে সব ক্লাবেরই আয় কমেছে। সেই কারণে ফুটবলারদের আয়ও সামান্যই বেড়েছে।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী এখন আয়ের নিরিখে বিশ্বের প্রথম পাঁচজন ফুটবলারের মধ্যে তিনজনই পিএসজি-তে খেলছেন। তাঁদের মধ্যে মেসি, নেমার ছাড়াও আছেন কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রান্সের এই তরুণ ফুটবলার আছেন চতুর্থ স্থানে। তাঁর বার্ষিক আয় ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যাঁরা খেলেন, তাঁদের মধ্যে প্রথম পাঁচজনের তালিকায় রোনাল্ডো ছাড়াও আছেন লিভারপুলের তারকা মহম্মদ সালাহ। তাঁর বার্ষিক আয় ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আছেন পাঁচ নম্বরে।
বার্সেলোনায় মেসির সতীর্থ আন্দ্রে ইনিয়েস্তা আগেই দল বদলেছেন। তিনি এখন খেলেন জাপানের একটি ক্লাবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বার্ষিক আয়ের নিরিখে বেশ ওপরের দিকেই আছেন। এ বছর তাঁর আয় ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বায়ার্ন মিউনিখ ও পোল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডস্কিরও বার্ষিক আয় ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। লেওয়ানডস্কি ও ইনিয়েস্তা যৌথভাবে ৬ নম্বরে আছেন। ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বার্ষিক আয় নিয়ে সাত নম্বরে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে রোনাল্ডোর সতীর্থ পল পোগবা। আট নম্বরে গ্যারেথ বেল। তাঁর বার্ষিক আয় ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৯ নম্বরে ইডেন হ্যাজার্ড। তাঁর বার্ষিক আয় ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে জোড়া গোল রোনাল্ডোর, হাসিল জয়