করুণাময় সিংহ, মালদা: স্বামীকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। মৃতের নাম রাম মুসোহার। তিনি পেশায় রঙের মিস্ত্রি।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, গতকাল রাতে রামের স্ত্রী পঞ্চমী ও পিসতুতো দাদা মনোজ রাম রাস্তায় দাঁড়িয়ে বারবার হাত দেখিয়ে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছিলেন। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দু’ জনের কথাতেই অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সিঁড়ির নিচে পড়ে আছে ৪০ বছরের রাম মুসোহারের রক্তাক্ত দেহ। স্থানীয়রাই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দেন। এরপর মৃতের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চমী ও মনোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পঞ্চমীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কিছুদিন আগে মালদারই কালিয়াচকে পরিবারের চারজন সদস্যকে খুন করার অভিযোগ ওঠে এক তরুণের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চার্জশিটে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট, খুনের চেষ্টার অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৭৩ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে ৪৪ জন সাক্ষীর। ওই ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে আসিফের দাদা মহম্মদ আরিফ ও তাঁর মামাও রয়েছেন।
চার্জশিটে উল্লেখ, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিবারের ছোট ছেলে মহম্মদ আসিফ মা-বাবা, বোন ও ঠাকুমাকে খুন করে বাড়ি লাগোয়া গুদামঘরে পুঁতে রাখে। আসিফ দাদা মহম্মদ আরিফকে খুনের চেষ্টা করলেও, তিনি প্রাণে বেঁচে যান। অভিযুক্তের দাদার অভিযোগের ভিত্তিতেই ১৯ জুন পরিবারের সদস্যদের দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই ১৯ বছরের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে ওই তরুণ জেল হেফাজতে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কালিয়াচকের পুরনো ষোল মাইল এলাকার বাসিন্দা ১৯ বছরের আসিফ বাবা, মা, বোন, ঠাকুমাকে ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অচেতন করে দেয়। তারপর চৌবাচ্চায় জলে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। বাড়ির গুদাম ঘরে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে ফেলে মৃতদেহ! আরিফের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাড়িতে হানা দিয়ে গুদামঘর থেকে চারজনের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন রতুয়ায় স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে 'গণধর্ষণ', শুরু রাজনৈতিক তরজা
মালদায় বাড়ছে শিশুমৃত্যু, জ্বর-শ্বাসকষ্টে সঙ্কটজনক অবস্থায় একাধিক