নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার (১৬ অগাস্ট) ভোরবেলা বর্ষীয়াণ ক্রিকেট প্রশাসক অমিতাভ চৌধুরী (Amitabh Chaudhary) পরলোক গমন করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসনের (JSCA) তরফেও তাঁর মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।


আইপিএস থেকে ক্রিকেট প্রশাসক


অতীতে অমিতাভ বিসিসিআইয়ের সচিব (BCCI Secretary) হিসাবে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন। তবে তাঁকে মূলত ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসনের প্রশাসক হিসাবেই সকলে চেনেন। ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটের উন্নতির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। এক দশকের বেশি সময় ধরে অমিতাভ ঝাড়খণ্ড ক্রিকেটে অ্যাসোসিয়েসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী অনিরুদ্ধ চৌধুরী জানান, 'ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটের জন্য় অমিতাভের অবদান ভোলার মতো নয়। ঝাড়খন্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন ওঁকে মিস করবে এবং ওঁ যে শূন্যস্থানটা রেখে গেলেন,তা ভরাট করা কখনও সম্ভব হবে। ওঁর মৃ্ত্যুতে আমি মর্মাহত।' ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন।


 






অমিতাভ আদপে একজন আইপিএস। তিনি রাজনীতিতেও কিছু সময় কাটিয়েছেন বটে, তবে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসাই তাঁকে এইদিকে টেনে নিয়ে আসে। ২০০৫-০৬ সালে তিনি ভারতের জিম্বাবোয়ে সফরে ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। এই সফরটা ভারতীয় ক্রিকেটে কুখ্যাত হয়ে রয়েছে। কারণ এই সিরিজের পর থেকেই মূলত তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় এবং কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের মধ্যেকার মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসা শুরু হয়। 


বিসিসিআই সচিব


অমিতাভের কেরিয়ার অবশ্য এখানেই থেমে থাকেনি। বিসিসিআইতে কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সময়কালে তিনি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সচিবের দায়িত্ব সামলান। সেই সময়েই আবারও এক বড় ঝামেলা সামলাতে হয় অমিতাভকে। তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং কোচ অনিল কুম্বলের মতবিরোধ এবং তারপরে কুম্বলের অপসারণের বিষয়টা সামলান অমিতাভই। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের অত্যাধুনিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম বানানোয় তাঁর প্রচুর অবদান রয়েছে এবং মাঠের এক পাশও তাঁরই নামে। সব মিলিয়ে বিসিসিআই এবং ঝাড়খণ্ড ক্রিকেটে তাঁর একাধিক কর্মের জন্য অমিতাভকে সকলেই বহুদিন মনে রাখবেন।


আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫, সমর্থকদের জন্য বাজারে ভারতীয় দলের বিশেষ জার্সি, কত দাম? কিনবেন কীভাবে?