কলকাতা : স্বাধীনতা দিবস পালনের উৎসবের রেশ ফিকে হওয়ার আগেই এসে পৌঁছেছিল খবরটা। আর মঙ্গলবার সকাল থেকে কার্যত দাবানলের মতো তা ছড়িয়ে পড়ল। ভারতীয় ফুটবল সংস্থা এআইএফএফকে (AIFF) বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফার (FIFA) নির্বাসিত করে দেওয়ার খবরে স্তম্ভিত, লজ্জিত, হতবাক ভারতীয় ফুটবল ভক্তরা। ক্ষোভ, উদ্বেগ মিলিয়ে নেটজগতে অকুল আকুতিতে ভাসাচ্ছেন তাঁরা। কেউ কেউ সরাসরি ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলছেন। কেউ দাবি করছেন, এই লজ্জার হাত থেকে রেহাই পেতে দেশের সর্বোচ্চ মহলের পদক্ষেপ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি মধ্য়স্থতার জন্য আসরে নামতেও আবেদন করেছেন অনেকে।


ফিফার তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, AIFF-এ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণেই নির্বাসিত করা হচ্ছে এআইএফএফকে। কয়েক মাস আগেই AIFF-এর সংবিধান সংশোধন করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য ৩ সদস্যের প্রশাসক কমিটি গড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। স্বয়ংশাসিত ক্রীড়া সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ফিফার আইন বিরুদ্ধ। সেই কারণেই প্রশাসক কমিটির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ফিফা।


চলতি বছরের ১১-৩০ অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা অনূর্ধ্ব -১৭ মহিলা বিশ্বকাপ। নির্বাসনের জেরে ফিফার এই নির্বাসনের ফলে বিশ্বকাপও স্থগিত থাকছে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি  নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এই নির্বাসন বহাল থাকবে বলে ফিফার তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।


ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ফিফা আশাবাদী, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী ফিফা।


এহেন অবস্থায় ভারতীয় ফুটবল ভক্তদের দাবি, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের গোটা বিষয়টি দ্রুত সুরাহার রাস্তা খুঁজে বের করা দরকার। প্রয়োজনে প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি হস্তক্ষেপ করুন।


আরও পড়ুন- 'ক্ষতি হবে ভারতীয় ফুটবলের', 'ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল', ফিফার নির্বাসন সিদ্ধান্তে হতাশ প্রাক্তনীরা


প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই AIFF-এর সংবিধান সংশোধন করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য ৩ সদস্যের প্রশাসক কমিটি গড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। স্বয়ংশাসিত ক্রীড়া সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ফিফার আইন বিরুদ্ধ। সেই কারণেই প্রশাসক কমিটির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ফিফা। প্রশাসক কমিটির পক্ষ থেকে এআইএফএফ-র নির্বাচনের প্রাক্কালে গঠনগত বেশ কিছু পরিবর্তনের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। যেখানে জানানো হয়েছিল, ৩ বছরের বেশি এআইএফএফ-র কোনও পদে থাকতে পারবেন না কোনও কর্তা। বিলুপ্ত হয়ে যাবে এআইএফএফ-এর সহ সভাপতি পদ। এআইএফএফ-এর এক্সিকিউটিভ কমিটিতে স্থান পাবেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। যদিও তাঁদের কার্যকলাপ নিয়ে আপত্তি জানিয়েই নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছে ফিফা।