কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের দিন জোড়া শোক ফুটবলপ্রেমীদের জন্য। রবিবার প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি ফুটবলার, জার্মানির গার্ড মুলার। একই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন কলকাতার তিন প্রধানে খেলা প্রাক্তন ফুটবলার চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার ছিলেন চিন্ময়। ষাটের দশকের কলকাতা ময়দানে পা রেখেছিলেন তিনি। খড়দহে নিজের বাসভবনে ৬৮ বছর বয়সে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিন প্রধানে দাপিয়ে খেলা ভারতীয় ফুটবল দলের ডিফেন্ডার। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন চিন্ময়। তাঁর মৃত্যুতে খড়দহের মন্দিরপাড়া এলাকায় শোকের ছায়া।
ময়দানে চিন্ময়ের ফুটবল কেরিয়ার শুরু বাটা ক্লাবে খেলে। তারপর তিনি খেলেন জর্জ টেলিগ্রাফে। ১৯৭৪ সালে সাব্বির আলির নেতৃত্বে এশিয়ার এক যুব টুর্নামেন্টে ইরানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই দলের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন চিন্ময়। ১৯৭৫ সালে মোহনবাগান তাঁকে সই করায়। কিন্তু পরের বছরেই ইস্টবেঙ্গলে চলে যান চিন্ময়। সেখানে টানা চার বছর খেলার পর কর্তাদের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ১৯৮০ সালে সই করেন মহমেডানে। ১৯৮১ সালে মহমেডানকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন রাইট ব্যাকে খেলা চিন্ময়।
বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন চিন্ময়। ১৯৭৮ সালে ব্য়াঙ্ককে এশিয়াডও খেলেন। খেলা ছাড়ার পর পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যাম থাপার সহকারী কোচ হিসেবে ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করান চিন্ময়। শ্যামল ঘোষের সঙ্গে জুটি বেধেও কোচিং করান তিনি। লাল-হলুদে টানা চার বছর ফুটবল খেলার পর, সহকারী কোচ হিসেবে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব সামলেছেন চিন্ময়। বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করাতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। রবিবার তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় তথা বাংলার ফুটবলের এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হল।
চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইট করেছেন, 'বিখ্যাত ফুটবলার চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরে গভীরভাবে শোকাহত। বিশ্বফুটবলে ওঁর নাম চিরস্মরণীয় থাকবে। ওঁর পরিবার ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই।'