নয়াদিল্লি: সব রকমের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর। প্রায় ২০ বছরের ক্রিকেট জীবনে ইতি টানলেন তিনি। ৬ তারিখ অন্ধ্র প্রদেশের বিরুদ্ধে শুরু হতে চলা রঞ্জি ম্যাচে ক্রিকেট মাঠে গৌতমকে শেষ দেখা যাবে।

টুইটার ও ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে শুভানুধ্যায়ীদের এ খবর জানিয়েছেন ৩৭ বছরের গৌতম। বলেছেন, খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত তাঁর কেরিয়ারে সব থেকে ভীতিপ্রদ ঘোষণা। ২০১৪ আইপিএলে পরপর তিনটি ম্যাচে শূন্য করায় বিরাট আঘাত পান তিনি। সে বছরই ইংল্যান্ড সফর মোটেও ভাল যায়নি তাঁর। একইভাবে খারাপ যায় ২০১৬। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাজকোট টেস্টের পর দল থেকে বাদ পড়েন। ঘন অন্ধকারে তিনি আত্মবিশ্বাস হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন কিন্তু কানে শুধু একটা কথাই বাজছিল, গৌতম, তোমার ইনিংস শেষ।

কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দু’বার আইপিএল দেওয়া ব্যাটসম্যানের বক্তব্য, দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে প্রথম ছটি ম্যাচে ব্যর্থতা তাঁর কেরিয়ারে দাঁড়ি টানার সিদ্ধান্তের পিছনে মূল কারণ। এরপর অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি, গত সিজনে কোনও খেলায় তাঁকে আর দেখা যায়নি। গৌতম বলেছেন, যাবতীয় যন্ত্রণা, ভীতি ও ব্যর্থতার পরেও সামনের জন্মেও তিনি ক্রিকেটারই হতে চান। ভারতের হয়ে আরও কিছু ম্যাচ জিততে চান, চান আরও কয়েকটি সেঞ্চুরি পেতে। কয়েকবার ৫ উইকেট করে পেলেও ভাল লাগবে। ডিডিসিও ও বিসিসিআইয়ের পাশাপাশি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।


বীরেন্দ্র সহবাগের সঙ্গে দেশকে অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি উপহার দেওয়া গৌতম গম্ভীর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পা রাখেন ১৯৯৯-২০০০ সালে। প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ২০০৩ সালে, ২০০৪-এ অস্ট্রেলিয়ার মত দলের বিরুদ্ধে টেস্টে হাতেখড়ি। ৫৮টি টেস্ট খেলেছেন তিনি, করেছেন ৯টি শতরান ও ২২টি অর্ধশতরান। ২০০৭-এ ভারতের টি ২০ বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা নেন গম্ভীর, ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে করেন ৭৫। ২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩ নম্বরে নেমে তাঁর দুর্দান্ত ৯৭-কে বলা হয় বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ইনিংস।