নয়াদিল্লি:  বাউন্ডারি সংখ্যার নিরিখে গতকাল ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেতাবের নিষ্পত্তি হয়েছে। রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য ইংল্যান্ডকে খেতাব জিতেছে। নিউজিল্যান্ডকে রানার আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ফাইনালে ম্যাচের ফলাফল নিষ্পত্তির জন্য আইসিসি-র এই নিয়মকে তুলোধুনো করছেন প্রাক্তন ক্রিকেটারা। এমনকি বর্তমান ক্রিকেটারদের কেউ কেউ এই নিয়ম নিয়ে অসন্তোষ গোপন রাখেননি।

গতকাল লর্ডসে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভার পর্যন্ত। কিন্তু সুপার ওভারের ফলাফলও টাই হওয়ার পর বাউন্ডারি সংখ্যার ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারিত হয়। ইংল্যান্ড মোট ২২ টি চার ও দুটি ছয় মেরেছিল। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের বাউন্ডারি সংখ্যা ১৬।

ভারতীয় দলের ওপেনার রোহিত শর্মাও এই নিয়ম নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর ট্যুইট-ক্রিকেটের কিছু কিছু নিয়ম সত্যিই খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।



তাঁর মতেরই প্রতিধ্বনি করেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার, অধুনা সাংসদ গৌতম গম্ভীর।  তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে গম্ভীর লিখেছেন, এ ধরনের একটি ম্যাচের ফলাফল কোন দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মেরেছে, তার  ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, তা বোধগম্য হচ্ছে না। এটা একেবারেই হাস্যকর নিয়ম। ম্যাচটা টাই হওয়া উচিত ছিল। তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচের জন্য আমি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড-উভয় দলকেই অভিনন্দন।



যুবরাজ সিংহও এই নিয়মের সঙ্গে একেবারেই সহমত নন। তাঁর ট্যুইট- আমি এই নিয়মের সঙ্গে একেবারেই সহমত নই। তবে নিয়ম নিয়মই। শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের জন্য খারাপ লাগছে। ওরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। দারুণ একটা ফাইনাল হল।



নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিশ আইসিসি-কে বিদ্রুপ করেছেন। তাঁর ট্যুইট-'আইসিসি হাসির পাত্র'।



অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ডিন জোন্সও আইসিসি-র এই নিয়মকে অন্যায্য আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ডিএল পদ্ধতির ভিত্তি রান ও উইকেট পতন। কিন্তু ফাইনালের ফলাফল শুধু বাউন্ডারির সংখ্যা দিয়ে নির্ধারিত হল। এটা একেবারেই ন্যায্য নয়।



নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও ওই নিয়মের সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এটা একেবারেই অবান্তর ও দুর্ভাগ্যজনক।

প্রাক্তন কিউই অলরাউন্ডার ডিওন ন্যাশ বলেছেন, 'ফাইনালের পর প্রতারিত মনে হচ্ছে'।  এই নিয়মকে হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, টুর্নামেন্টের আগেই ওই নিয়ম তৈরি হয়েছিল। তাই এখন এটা নিয়ে অভিযোগের কোনও কারণ নেই। তবে নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

২০১৫-র বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের পরাজিত দলের সদস্য কাইল মিলস বলেছেন, উইকেট সংখ্যার ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারণ করা যেত।