নয়াদিল্লি: একবার এক সাক্ষাৎকারে গৌতম গম্ভীর বলছিলেন যে, ''আমি কেরিয়ারে মাত্র ২টো বিশ্বকাপই খেলতে পেরেছি। আর আমি এতটাই সৌভাগ্যবান যে সেই ২টো বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতীয় দল।'' কিন্তু যেটা তিনি বলেননি তা হল ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে দেশের খেতাব জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনিই। ম্যাচের সেরা না হলেও ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যাট হাতে দুর্ধর্ষ ৭৫ রানের ইনিংস। গম্ভীরের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা। আজকের ওস্তাদের মার সিরিজের গম্ভীরের সেই ইনিংস নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।
গম্ভীরের অর্ধশতরান, পাঠানের ৩ উইকেট
জোহানেসবার্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণের ফাইনাল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। বীরেন্দ্র সহবাগের মতো সিনিয়র ওপেনার দলে ছিলেন না। তাই বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন গৌতম গম্ভীর। সেদিন টস জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমে সোহেল তনভীর, উমর গুলদের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করেছিল টিম ইন্ডিয়া। যার সিংহভাগ কৃতিত্বই প্রাপ্য বাঁহাতি গম্ভীরের। অনভিজ্ঞ রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন গম্ভীর। নিজে ৫৪ বলে ৭৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। হাঁকিয়েছিলেন সেদিন ৮টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা। সেদিন লোয়ার অর্ডারে ১৬ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত শর্মা।
রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান শিবির মাত্র ১৫২ রানই করতে পারে নির্ধারিত ২০ ওভারে। নাটকীয় শেষ ওভারে যোগিন্দার শর্মার বলে মিসবা উল হক ক্যাচ আউট হতেই ইতিহাস গড়ে নেয় ভারতীয় দল। নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ইরফান পাঠান। আর পি সিংহ ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাক ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামিয়েছিলেন বাঁহাতি পাঠান। তাঁকেই ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত করা হয়েছিল। কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না যে গম্ভীরের অর্ধশতরানের ইনিংসটি না থাকলে আদৌ দেড়শোর কাছাকাছিও পৌঁছতে পারত করতে পারত কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর ৪ বছর পর ২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালেও ৯৭ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন গম্ভীর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ৫৮টি টেস্ট খেলেছেন। ওয়ান ডে ক্রিকেটে পাঁচ হাজারের ওপর রান। তবুও ২০১৩ সালে বাদ পড়ার পর বিদায়ী ম্যাচ খেলার আর কোনও সুযোগ পাননি দিল্লির এই তারকা ওপেনার।