মুম্বই: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। বিসিসিআই সৌরভকে বোর্ডে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। যা নিয়ে বিতর্ক এখনও থামার নয়। এদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতির চেয়ারে বসে এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসায় রজার বিনি। 


কী বলছেন রজার বিনি?


এক সাক্ষাৎকারে রজার বিনি বলেন, ''সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অনেক বড় একটা নাম। ভারতীয় ক্রিকেটের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে একটা বড় নাম। সৌরভ নিজে একজন বড় মাপের ক্রিকেটার ছিলেন। তাঁর আমলেই অনেক ক্রিকেটার উঠে এসেছিল। যাঁরা পরবর্তীতে দেশকে অনেক অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। সৌরভ নিজেও লড়াকু ছিলেন। সৌরভ বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। কিন্তু ওর আমলেই ভারতীয় ক্রিকেট নতুন দিশা দেখেছিল।''


নতুন দায়িত্ব পাওয়া প্রসঙ্গে বিনি বলেন, ''বিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়াটা গর্বের বিষয়। গত ৫০ বছর ধরে এই খেলাটার সঙ্গে জড়িত আমি। জানি ক্রিকেটের উন্নতি কী করতে হবে। স্কুল ক্রিকেটে আরও উন্নতি করতে হবে। রঞ্জি ট্রফির প্রতি অনেকের আগ্রহ চলে যাচ্ছে। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে দেশের অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট। তার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে।'' 


নিজের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে রজার বিনি বলেন, ''একজন প্রশাসক হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে হবে আমাদের। লাল বলের ক্রিকেটের কোনও বিকল্প হয় না। এই ফর্ম্যাটকে বাঁচাতেই হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তুলনায় অনেকটা সহজ। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ক্রিকেটারের আসল পরীক্ষা। কে, কত ভাল ক্রিকেটার তা এখান থেকেই প্রমাণিত হয়।'' 


মুম্বইয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ঘোষণা করে দেন যে আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। এমনকী তিনি এমনও বলেন যে পাকিস্তানে নয়, এশিয়া কাপ আয়োজিত করা হবে। আর এরপপরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফেও হুঁশিয়ারি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে যে যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না আসে টিম ইন্ডিয়া, তবে তারাও ওয়ান ডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবে না। এমনকী এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্যপদও ছাড়তে রাজি তারা।




 



বোর্ডে সভাপতি হিসেবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আর শুরুতেই ভারত-পাক দ্বৈরথ নিয়ে মুখ খুললেন রজার বিনি। আগামী বছর এশিয়া কাপে আদৌ কি অংশগ্রহণ করবে টিম ইন্ডিয়া? বিনি বলছেন, এই বিষয়টি বোর্ডের হাতে নেই। পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।