নয়াদিল্লি: কোচিং স্টাফের সদস্য দক্ষিণ আফ্রিকার তিনজনের প্রবেশাধিকার না থাকায় ২০১১ বিশ্বকাপের আগে বেঙ্গালুরুর একটি ফ্লাইট স্কুলে ভারতীয় দলের যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এমনই জানালেন ভারতের প্রাক্তন কোচ গ্যারি কার্স্টেন। তিনি জানিয়েছেন, দলের ঐক্য বজায় রাখার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনি। তিনি শুধু মহান অধিনায়কই ছিলেন না, দলের সবার সঙ্গে একাত্মও হয়ে গিয়েছিলেন।

একটি ইউটিউব শোয়ে কার্স্টেন জানিয়েছেন, ‘যাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল লেগেছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। ও মহান নেতা ছিল। অধিনায়ক হিসেবে ওর উপস্থিতি অবিশ্বাস্যভাবে সবসময় চোখে পড়ত। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ও দলের প্রতি অনুগত ছিল। আমি কোনওদিন ভুলব না, বিশ্বকাপের ঠিক আগে বেঙ্গালুরুতে একটি ফ্লাইট স্কুলে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমাদের সেখানে গিয়ে উড়ানের যাবতীয় বিষয় দেখার কথা ছিল। দলের সবাই সেখানে যাওয়ার জন্য তৈরি ছিল। আমাদের দলে দক্ষিণ আফ্রিকার তিনজন ছিল। যেদিন সকালে আমাদের যাওয়ার কথা ছিল, সেদিন আমাদের জানানো হয়, আমাকে, প্যাডি আপটনকে এবং এরিক সিমন্সকে ওই ফ্লাইট স্কুলে যেতে দেওয়া হবে না। কারণ, আমাদের সেখানে যাওয়া নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সে কথা জানার পরেই এমএস দলের এই সফর বাতিল করে দেয়। ও বলে, এরা আমার লোক। ওদের যদি যেতে দেওয়া না হয়, তাহলে আমরা কেউই যাব না। এটাই ওর বিশেষত্ব।’

কার্স্টেন আরও জানিয়েছেন, ‘এমএস সবসময় দলের প্রতি অনুগত ছিল। আমরা সব ম্যাচ জিততে পারিনি। অনেক সময়ই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু সেই সময়েও আমরা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি। দলের ঐক্যে ফাটল ধরেনি। আমরা একসঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছি। যে তিন বছর আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি, দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।’

ধোনি সম্পর্কে ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন কোচ আরও জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পরেই তিনি সিনিয়র ক্রিকেটারদের আস্থা অর্জন করেন। তার ফলেই ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বদলে যায় এবং টিম স্পিরিট গড়ে ওঠে। ২৭ বছর বয়সি একজন অধিনায়ক দলের সবার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।