নয়াদিল্লি: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ এগিয়ে থাকা অবস্থাতেই ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিকে শুনতে হল কটাক্ষ। এবং, সেই খোঁচা এল এমন একজনের কাছ থেকে, যিনি শুধু জাতীয় দলেই নয়, রাজ্য দলেও কোহলির এক সময়কার সতীর্থ।


গৌতম গম্ভীর। জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার চাঁচাছোলা ভাষায় জানিয়ে দিলেন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও রোহিত শর্মার মতো তারকা ক্রিকেটারেরা রয়েছেন বলেই অধিনায়ক কোহলির কাজ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘অধিনায়ক কোহলিকে এখনও অনেক রাস্তা পেরতে হবে। গত বিশ্বকাপে ও বেশ ভাল খেলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ও ভাল নেতৃত্ব দিয়েছে কারণ পাশে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, রোহিত শর্মাদের পেয়েছে। অধিনায়কত্বের দক্ষতা বোঝা যায় কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময়। যখন পাশে কাউকে পাওয়া যায় না।’

প্রাক্তন বাঁহতি ব্যাটসম্যান আরও বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা বলার সময় বরাবর সৎ থেকেছি। রোহিত শর্মা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বা ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে অর্জন করেছে দেখুন। তার সঙ্গে যদি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পারফরম্যান্স দেখা যায়, তাহলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়।’

টেস্টে রোহিতকে দিয়ে ইনিংস ওপেন করানোর জন্য সওয়াল করেছেন গম্ভীর। তিনি বলেছেন, ‘কে এল রাহুলকে অনেক বেশি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এবার টেস্ট ক্রিকেটে রোহিতকে দিয়ে ওপেন করানোর সময় হয়েছে। ওকে দলে রাখলে প্রথম একাদশে খেলাতেই হবে। বেঞ্চে বসে থাকার মতো ক্রিকেটার ও নয়।’

২০০৭ সালে বিশ্বকাপের দলে নির্বাচিত না হওয়ায় তিনি খেলা ছাড়ার কথা ভেবেছিলেন বলেও জানিয়েছেন গম্ভীর। ‘২০০৭ সালে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাওয়াটা আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়। হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। তার আগে অনূর্ধ্ব ১৪ ও অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে খেলতে পারিনি। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপের দলে ঢোকার কাছাকাছি গিয়েও সুযোগ না পাওয়ায় খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম,’ বলেছেন গম্ভীর। যোগ করেছেন, ‘সে বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাই আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফিরি। যদিও শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার হই আর বিশ্বকাপটাও আমরাই জিতি।’