মিউনিখ: জল্পনা ছিলই। শেষ পর্যন্ত ইউরো কাপে বিপর্যয়ের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরই নিয়ে ফেললেন জার্মানির তারকা টোনি ক্রোস। মাত্র ৩১ বছর বয়সে। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ইউরো কাপের প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় মেনে নিতে পারছেন না বলে ঘনিষ্ঠ মহলে আগেই জানিয়েছিলেন ক্রোস। তাই অবসরের পথেই হাঁটলেন জার্মানির তারকা ফুটবলার টোনি ক্রোস!


জার্মানির প্রথম সারির এক দৈনিক প্রথম ক্রোসের অবসর নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, ইউরো কাপ থেকে জার্মানি ছিটকে যাওয়ার পর জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ক্রোস। জার্মানি শিবির থেকেও ইঙ্গিত ছিল, দেশের জার্সিতে সম্ভবত শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ক্রোস।


শেষ পর্যন্ত অবসরের সিদ্ধান্তই নিলেন রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ক্রোস লিখেছেন, '১০৬ ম্যাচে জার্মানির হয়ে খেলেছি। আর সেই মুহূর্ত ফিরে আসবে না।'



চলতি ইউরো কাপে জার্মানির সব ম্যাচে পুরো সময় মাঠে ছিলেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার আগেই জানিয়েছিলেন যে, তিরিশ পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি তাঁর কেরিয়ারকে দীর্ঘায়িত করতে চান না। 


মঙ্গলবার ঘরের মাঠে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে জয় পেয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ৭৫ মিনিটে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন রাহিম স্টার্লিং। দুর্দান্ত টিমওয়ার্কের ফলে গোলটি আসে। প্রথমে হ্যারি কেন বল পেয়ে বাড়িয়ে দেন গ্রিলিশের উদ্দেশে। গ্রিলিশ বল দেন লুক শ-কে। শ লেফট উইং থেকে নিচু ক্রস বাড়ান। সেই ক্রসে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন স্টার্লিং।




৮১ মিনিটে গোল শোধ করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। কিন্তু সেই সুযোগ হেলায় হারান থোমাস মুলার। তিনি ইংল্যান্ডের গোলকিপার পিকফোর্ডকে একা পেয়েও বল গোলে রাখতে ব্যর্থ হন। ৮৬ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান বাড়ান হ্যারি কেন।



ক্রোস ২০১০ বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রাখেন। ২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি।