হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। গুগলে ভারতীয় ক্রিকেট দল বা ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (Indian Cricket Team, India Vs Australia) টাইপ করলেই কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে ফাটছে আতসবাজি।
চোটের জন্য বিপর্যস্ত ভারতীয় দল যেন ফিনিক্স পাখির মতো বার বার ফিরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজে। ৩৬ রানে অল আউট থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মেলবোর্নে জয়। একের পর এক ক্রিকেটার চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন দল থেকে। তার পরেও লড়াই ছেড়ে দেয়নি ভারত। যাঁরা ছিলেন তাঁদের দিয়েই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল দল। এসেছে সাফল্যও। ২-১ ব্যবধানে জিতে সিরিজ পকেটে পুরেছে ভারত।
গাব্বায় চতুর্থ টেস্টে জয়ের পরেই গুগলের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সুন্দর পিচাই অভিনন্দন জানান ভারতীয় দলকে। সব বাধা অতিক্রম করে ভারতের এই জয়কে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, 'সর্বকালের সেরা টেস্ট সিরিজ জয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। ভারতকে অভিনন্দন। অস্ট্রেলিয়াও ভাল ক্রিকেট খেলেছে। কী দুর্দান্ত একটা সিরিজই না হল।' পিচাই নিজে ক্রিকেটের বড় ভক্ত। জানা গিয়েছে, তিনিই চেয়েছিলেন ভারতের ঐতিহাসিক জয়কে আরও স্মরণীয় করে রাখতে। সেই জন্যই এই উদ্যোগ গুগলের।
রূপকথার লড়াই! হ্যাঁ, ডনের দেশে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। বিরাট এক টেস্ট খেলে দেশে ফিরবেন! সরকারিভাবে এই ঘোষণার পরই ক্রিকেটপণ্ডিতরা ভারতকে ০-৪ হোয়াইটওয়াশ হতে দেখেছিলেন! সেখানেই বিরাটের নেতৃত্বে অ্যাডিলেডে ভারতের ৩৬ রানে অলআউটের মহাবিপর্যয়! সেই বিপর্যয় যদি ইতিহাসে স্থান পায় তবে মহাপ্রত্যাবর্তনটা আরও বড় করে লেখা থাকবে। যেখানে বিরাট দেশে ফেরার পর শামি-উমেশদের চোটে জর্জরিত হয়ে পড়া পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন সুন্দর-শার্দুল ঠাকুর-নভদীপ সাইনি-মহম্মদ সিরাজদের মতো একঝাঁক তরুণদের কাঁধে চেপে ইতিহাস লিখল ভারত। ৩৬ এর ধ্বংস দেখে যারা ভারতের উপর আস্থা হারিয়েছিলেন, রাহানের নেতৃত্ব তরুণদের নয়া ভারতই যেন তাঁদের নতুন রূপকথার প্রত্যাবর্তন দেখালেন। ডনের দেশে এ যেন নতুন ভারতের 'দাদাগিরি'।