সিডনি: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাত। পরে অধিকাংশ সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিক্ততা। এবং কোচ হিসাবে তাঁর প্রস্থান। গ্রেগ চ্যাপেল মানেই ভারতীয় ক্রিকেটে এক বিতর্কিত অধ্যায়।


এবার গুরু গ্রেগ জানালেন, কোচ হিসাবে তাঁর চুক্তি নবীকরণ করতে চেয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু তিনি চাপ নিতে পারছিলেন না বলে ভারতীয় বোর্ডের সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে, সৌরভই তাঁকে ভারতের জাতীয় দলের কোচ করে এনেছিলেন এবং সেই সৌরভ দলে ফেরার জন্যই বাকি সিনিয়র ক্রিকেটারদের আস্থা হারাতে হয়েছিল তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, “সৌরভই আমাকে প্রথম কোচিং করানোর কথা বলে। অন্য কয়েকটি দেশের প্রস্তাব থাকলেও আমি ভারতের প্রস্তাবেই রাজি হই। কারণ ক্রিকেট অন্ত প্রাণ এই দেশকে কোচিং করানোর সুযোগ ছাড়তে পারিনি। প্রথম দু’বছর খুবই কঠিন ছিল। প্রত্যাশা মারাত্মক ছিল। সৌরভকে অধিনায়ক রাখা নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আসলে ও খুব বেশি পরিশ্রম করতে চাইত না। নিজের ক্রিকেটের উন্নতি করতে চাইত না। শুধু চাইত দলের নেতৃত্ব যেন ওর হাতেই থাকে। তাতে ওর নিয়ন্ত্রণে থাকে দলের সব কিছুই।”


সাক্ষাৎকারে চ্যাপেল জানিয়েছেন, ভারতের কিছু সংস্কৃতি এবং ভাবনাচিন্তা তিনি বদলাতে চেয়েছিলেন। এক বছর দল চালানোর জন্য কৃতিত্ব দেন রাহুল দ্রাবিড়কেও। চ্যাপেল বলেছেন, “ভারতকে বিশ্বের সেরা দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার নেপথ্যে দ্রাবিড়ের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। তবে অনেকেই দলে কীভাবে টিকে থাকবে, শুধু সেটাই ভাবত। নতুনদের নেওয়ার ব্যাপারে দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা মাঝেমধ্যে প্রতিবাদ জানাত। কারণ ওরা জানত ওদের দিন শেষ হয়ে আসছে। সৌরভকে বাদ দেওয়ার সময় অনেকে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। ওরা বুঝতে পেরেছিল যে, অধিনায়ক সৌরভকে বাদ দেওয়া হয়েছে মানে ওদেরও একদিন বাদ দেওয়া হবে।”


চ্যাপেল জানিয়েছেন, সৌরভ ফিরতেই প্রতিবাদ দেখা যায় দলের অন্দরে। অনেকেই তখন প্রশ্ন তোলেন, সৌরভ দলে ফিরেছেন কী করে? এরপরেই একে একে ক্রিকেটারদের আস্থা হারাতে থাকেন চ্যাপেল। দলের মধ্যে তাঁকে নিয়ে বিভাজনও তৈরি হয়।