লন্ডন: ক্রিকেট নাকি ভদ্রলোকের খেলা! অন্তত এই খেলার আবিষ্কর্তা ইংরেজরা এমনটাই দাবি করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ইংল্যান্ডেই অর্ধেকের বেশি আম্পায়ারের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন ক্রিকেটাররা। গালিগালাজ নিত্য ঘটনা। এমনকী, আম্পায়ারদের দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তেড়ে যাওয়া বা তাঁদের মারধর করার মতো ঘটনাও প্রায়শই দেখা যাচ্ছে। ২০১৫ সালে আম্পায়াররা আক্রান্ত হওয়ায় পাঁচটি বিনোদনমূলক ম্যাচ বাতিল করতে হয়। ফলে জন্মভূমিতেই প্রশ্নের মুখে ক্রিকেট।


পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছে। ৭৬৩ জন আম্পায়ারের কাছে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আম্পায়ারই জানিয়েছেন, সম্প্রতি অভব্য আচরণ বেড়ে গিয়েছে। ৪০ শতাংশ আম্পায়ার বলেছেন, মাঠে তাঁদের সঙ্গে এতটাই খারাপ আচরণ করা হচ্ছে যে তাঁরা আম্পায়ারিং ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন।

ডার্বিশায়ারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আম্পায়ার বলেছেন, ‘আমি ৬ বছর ধরে আম্পায়ারিং করছি। প্রতি ম্যাচেই গালিগালাজ শুনতে হয়। একবার তো একজন আমার মুখে থুতু ছিটিয়েছিল। কেউ থুতু দিলে কেমন লাগে? তখন সবচেয়ে শোচনীয় এবং বিরক্তিকর অবস্থা হয়।’

সমীক্ষায় আম্পায়ারদের প্রতি এহেন আচরণের তথ্য উঠে আসায় সমীক্ষকরাই হতবাক। তাঁরা ভাবতেও পারেননি, খোদ ইংল্যান্ডেই অভবত্যার শিকার হতে পারেন আম্পায়াররা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এমসিসি নড়েচড়ে বসেছে। কোনও খেলোয়াড় গালিগালাজ করলে সেই দলের বিরুদ্ধে পেনাল্টি রান দেওয়া, সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে আম্পায়ারদের।

ইসিবি-র আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নিক কাজিনস বলেছেন, অনেকেই খেলোয়াড়দের অভব্য আচরণের প্রতিবাদে আম্পায়ারিং ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। এটা হতে দেওয়া যায় না। আম্পায়াররা না থাকলে ক্রিকেট খেলা হবে কী করে? খেলোয়াড়রা যাতে আম্পায়ারদের সঙ্গে ভাল আচরণ করেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।