মুম্বই: ৬৬৪ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ৩৪ হাজার ৩৫৭ রান। শতরানের সেঞ্চুরি। ২০১ আন্তর্জাতিক উইকেট। আর এক ক্রিকেট ঈশ্বর। সচিন তেন্ডুলকার। আজ আটচল্লিশে পা দিলেন তিনি।


ভারতীয় ক্রিকেটকে আমূল বদলে দেওয়ার মসিহা ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল জন্ম নিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে ক্রিকেটকে আলবিদা জানালেও জেন্টলম্যানস গেম নিয়ে আসমুদ্রহিমাচলের আবেগ ও সচিন তেন্ডুলকার প্রতি ভালোবাসা এখনও একইরকমভাবেই সমার্থক।


মাস্টার ব্লাস্টারের জন্মদিনে তাই তাঁকে শুভেচ্ছার বহরে ভাসিয়েছেন ভারতীয়রা। শুধু ভক্তরাই নন, ক্রিকেটার থেকে ধারাভাষ্যকার থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তি সকলেই কিছুদিন আগে করোনাজয়ী সচিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন।


সচিনের ছোটবেলার কিছু মুহূর্ত ও তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনে নানা মুহূর্তের একসঙ্গে ছবি কোলাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে 'হ্যাপি বার্থডে মাস্টার' উইশ করেছেন যুবরাজ সিংহ। ট্যুইটারে যুবি লেখেন, 'কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তুমি দ্রুতই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছো এটা অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক, আজকের বিশেষ দিনে অনেক ভালোবাসা রইল।'


মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষ থেকে মেন্টর সচিনকে 'গোট' (গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম) উল্লেখ করে একটি বিশেষ ভিডিও পোস্ট করা হয়। যেখানে জসপ্রীত বুমরা জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তায় বলেছেন, 'নব্বইয়ের দশকে সচিনের ব্যাটিং দেখে আমরা সবাই বড় হয়েছি। আমাদের কাছে ক্রিকেট মানেই ছিল সচিন তেন্ডুলকার।'


রোহিত শর্মা বলেছেন, 'পাজি জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তুমি আমাদের সঙ্গে এবারে থাকতে পারনি, তবে আশা সুস্থ রয়েছো এটাই সবথেকে আনন্দের। দারুণ ভাবে জন্মদিন কাটাও আর জমিয়ে আইপিএল উপভোগ করো।'


ভিডিও শেষের ঠিক আগে সেখানে বার্তা দিয়েছেন অর্জুন তেন্ডুলকার। সচিন পুত্রের বার্তা, 'জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। খারাপ-ভালো সবসময় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞ থাকব।'


শিখর ধবন, ক্রুণাল ও হার্দিক পাণ্ড্য, শেন বন্ড, শ্রেয়স আইয়াররাও সচিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


ভারতের হয়ে ক্রিকেট মাঠে সচিনের যাবতীয় অনন্য কীর্তি তাঁর ঝুলিতে এনে দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মান রাজীব গাঁধী খেলরত্ন। ১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী ও ২০০৮ সালে পদ্মভূষণ সম্মানেও সম্মানিত হয়েছেন ক্রিকেটের লিটল মাস্টার।