গুজরাতের ওই প্রাক্তন পুলিশ অফিসার সোস্যাল মিডিয়ায় হিন্দিতে এক পোস্টে লিখেছেন, এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলে কি কোনও মুসলিম আছে? ভারতীয় টিমে একজনও মুসলিম ক্রিকেটার নেই, স্বাধীনতার পর কতবার এমন হয়েছে? তবে কি মুসলিমরা ক্রিকেট খেলাই ছেড়ে দিয়েছে নাকি নির্বাচকরা অন্য কোনও খেলার নিয়ম অনুসরণ করছেন?
ঘটনা হল, ভট্ট যখন প্রশ্নটি তুলেছেন, প্রায় একই সময়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলে রাখা হয়েছে দুই মুসলিমকে। মহম্মদ সামি ও নবাগত মহম্মদ সিরাজ।
হায়দরাবাদের অটোচালকের ছেলে সিরাজ। ২০১৫-১৬ বছরের রনজি ট্রফিতে হায়দরাবাদের হয়ে ৪১টি উইকেট পেয়ে দ্রুত উত্থান হয়েছে তাঁর। আইপিএলের দশম সংস্করণে তাঁকে ২.৬ কোটি টাকায় কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর সামিকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি একদিনের ম্যাচে না নেওয়া হলেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দলে রাখা হয়েছে।
কিন্তু ভাজ্জি ধর্মের বিষয়টি ভেবে দেখারই পুরো বিরোধী। ভট্টের পোস্টের পাল্টা ট্যুইট করে তিনি জানিয়েছেন, দেশের ক্রিকেট দলের হয়ে যে-ই খেলে, সে শুধুই ভারতীয়, তার ধর্ম কী, সে কোন জাতের, এসব নিয়ে আলোচনাই হওয়া উচিত নয়।