মুম্বই: বিরাট কোহলিদের সামনে কার্যত মরণ-বাঁচন লড়াই ছিল। আইপিএলে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করতে হলে সব ম্য়াচই জিততে হবে - এরকমই পরিস্থিতি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে।


যদিও ফের হোঁচট খেতে হল কোহলিদের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে পাঁচ উইকেটে হেরে গেল আরসিবি। কোহলিদের প্লে-অফের স্বপ্নও কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গেল।

সোমবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি তুলেছিল সাত উইকেটে ১৭১ রান। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৯ বলে মাত্র ৮ রান করে ফিরলেন কোহলি। লড়াই করলেন এ বি ডিভিলিয়ার্স। সোমবার তিনিই হয়ে উঠলেন আরসিবি-র সেরা যোদ্ধা। শুরুর দিকে সাবলীল ছিলেন না। সতর্ক হয়ে ক্রিজে সময় কাটাচ্ছিলেন। তবে সেট হয়ে যাওয়ার পর স্বমূর্তি ধরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান। ৫১ বলে ৭৫ রান করে তিনিই আরসিবি-র সর্বোচ্চ স্কোরার। ডিভিলিয়ার্সের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও চারটি ছক্কা। ডিভিলিয়ার্সকে যোগ্য সঙ্গত করলেন মঈন আলি। ৩২ বলে তিনি করলেন ৫০ রান। পার্থিব পটেল ইনিংস ওপেন করে ২০ বলে করেন ২৮। বাকিদের কেউই আর দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বল হাতে সেরা লাসিথ মালিঙ্গা। চার ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন শ্রীলঙ্কার ফাস্টবোলার।

রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের শুরুটা ভালই হয়েছিল। মাত্র ৭ ওভারে ৭০ রান যোগ করেন রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কক। তবে এরপরই পরপর উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় মুম্বই। হার্দিক পাণ্ড্য যে চাপ কাটিয়ে দলকে বার করে আনলেন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। ১৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করলেন বঢোদরার অলরাউন্ডার। তাঁর ইনিংসে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা। এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ মুম্বইয়ের।

ম্যাচের সেরা হয়েছেন মালিঙ্গা। ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বই উঠে এলে তালিকায় তিন নম্বরে। কলকাতা নাইট রাইডার্স নেমে গেল চারে। দুইয়ে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চেন্নাই সুপার কিংস।