চণ্ডীগড়: ও ব্যাট করে বীরেন্দ্র সহবাগের ধাঁচে আর আক্রমণাত্মক বিরাট কোহলির মত। বললেন হেমজিৎ কৌর, ভারতকে বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলা হরমনপ্রীত কৌরের দিদি।


পঞ্জাবের মোগার মেয়ে হরমনপ্রীত। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর ১৭১ রানে ভর করে ৩৬ রানে ম্যাচ জিতেছে ভারত, এই প্রথম পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বকাপ ফাইনালে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বাড়িতে খুশির অন্ত নেই। রাত থেকেই শুরু হয়েছে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের যাতায়াত, আশপাশের বাড়ির ছোট ছেলেমেয়েরা ঢোল বাজাতে বাজাতে চলে এসেছে, হচ্ছে মিষ্টিমুখ। সকলে অভিনন্দন জানাচ্ছেন হরমনপ্রীতের গর্বিত বাবা মাকে।

হেমজিৎ বলেছেন, ছোটবেলা থেকে বোন ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলত। রানের ক্ষিদে ওর বরাবর। মাঠে বিরাট কোহলির মত আক্রমণাত্মক ও কিন্তু মাঠের বাইরে যথেষ্ট শান্ত, সংযত। বীরেন্দ্র সহবাগ ওর আদর্শ, তাঁর মতই ব্যাট করে।

হেমজিতের বিশ্বাস, বৃষ্টি এসে ব্যাঘাত না ঘটালে তাঁর বোন একাই দুশ করে ফেলতেন।

হেমজিৎ জানিয়েছেন, হরমনপ্রীতের প্রথম কোচ তাঁর বাবা হরমিন্দর সিংহ। তিনিও ভাল ক্রিকেট খেলতেন কিন্তু খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি। এখন মেয়ের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নপূরণ করছেন তিনি।

আবার হরমিন্দর বলেছেন, মেয়ে তাঁকে কথা দিয়েছেন, দেশের জন্য তিনি বিশ্বকাপ নিয়ে আসবেন।

হরমনজিতের মা সতিন্দর কৌরের কথায় উঠে এসেছে মেয়ের ছোটবেলার দিনগুলো। যে সময় অন্য মেয়েরা হইচই করে কাটিয়েছে, তাঁর মেয়ে সেই সময়টা নিজেকে ডুবিয়ে দেন প্র্যাকটিসে। এমনকী বাড়িতেও ঘরের বাইরে প্র্যাকটিস করতেন তিনি।

১৯৮৩-তে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে কপিল দেবের অপরাজিত ১৭৫ ভারতকে হারের দোরগোড়া থেকে জয়ে পৌঁছে দিয়েছিল। হরমনজিতের গতকালের ইনিংসকে কপিলের সেই ব্যাটিংয়ের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। অনেক মা বাবাই চাইছেন, তাঁদের মেয়ে বড় হয়ে ক্রিকেট খেলুক হরমনপ্রীতের মত।