বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একসময়ের দুই 'সহযোদ্ধা' ও কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামী ও মিতালি রাজের সঙ্গে বিশ্বকাপ শেয়ার করে নেওয়ার আনন্দ চোখেমুখে ধরা পড়েছে হরমনপ্রীত কৌরের। তাঁদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার সেই অনুভূতির কথা জানিয়েছেন হরমনপ্রীত। এই মুহূর্তে ভারতের মহিলা ক্রিকেট যেখানে পৌঁছেছে, সেখানে পৌঁছানোর পিছনে এই দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের বিশাল অবদান। তাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেই আনন্দ তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে কোনও কুণ্ঠা করেননি হরমনপ্রীতরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে ৫২ রানে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকেও সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল অধিনায়কের গলায়।

Continues below advertisement

হরমনপ্রীত বলেন, "ঝুলনদি ছিলেন আমার সবথেকে বড় সমর্থক। আমি যখন দলে যোগ দিই, উনি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আমার শুরুর দিনগুলি যখন আমি অনভিজ্ঞ ছিলাম এবং ক্রিকেট সম্বন্ধে বেশি জানতাম না, সেই সময় ঝুলনদি আমাকে সমর্থন করে গেছেন। আমি ছেলেদের সঙ্গে খেলাতাম। স্কুলের অধ্যক্ষ আমাকে বেছে নিতেন। এক বছরের মধ্যে আমি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে শুরু করি। গোড়ার দিনগুলিতে অঞ্জুম (চোপড়া) আমাকে অনেক সমর্থন করেছে। আমি সবসময় মনে রাখব, কী করে ও টিমের সঙ্গে আমাকে নিয়ে যেত। আমি ওর কাছ থেকে অনেক শিখেছি, সেই শিক্ষা দলে ছড়িয়ে দিয়েছি। এরা দুজনেই আমার বড় সমর্থক থেকেছেন। আমি খুব কৃতজ্ঞ যে, তাদের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত শেয়ার করার সুযোগ পেয়েছি। খুব আবেগপ্রবণ মুহূর্ত ছিল। আমরা সবাই এটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। শেষমেশ, আমরা এই ট্রফিটা স্পর্শ করার সুযোগ পেলাম।" 

ফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ক্যামবাক করছিল, সেইসময় দলকে "বিশ্বাস" রাখতে বলেন হরমনপ্রীত। সুযোগ আসতেই সেই সুযোগ ধরে নেওয়ার পরামর্শ দেন। হরমনপ্রীত বলেন, "আমি শুধু বলছিলাম, বিশ্বাস রাখো। এজন্য আমরা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি। সুযোগ বাড়বে, তা ধরতে হবে। একদিনের ক্রিকেট লম্বা...অনেক ধাপ আছে যেগুলো বারবার পার করতে হয়। নিঃসন্দেহে, তারা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে, কিন্তু আমরা বারবার এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছিলাম। আমি সব খেলোয়াড়কে একটাই বার্তা দিচ্ছিলাম -- বিশ্বাস রাখো, সুযোগ আসবেই। আমরা জানতাম আমাদের স্পিনাররা সবসময়ই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। দীপ্তি আর চার্নি আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা উইকেট পেতে শুরু করতাম। বার্তা স্পষ্ট ছিল: শুধু ইতিবাচক থাকো। "

Continues below advertisement