মুম্বই: ভয়াবহ খরা, জলসঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ এপ্রিলের পর মহারাষ্ট্রে নির্ধারিত সব আইপিএল ম্যাচ অন্যত্র সরাতে বলল বম্বে হাইকোর্ট। ফলে ২৯ মে-র ফাইনাল সমেত মে মাসে আইপিএলের ১৩টি ম্যাচের আয়োজন করা যাবে না মহারাষ্ট্রে। ১৮ দিনের মধ্যে ওই ম্যাচগুলি করার নতুন জায়গা বাছাই করতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণকারী বোর্ড (বিসিসিআই)-কে।

 

‘লোকসত্তা মুভমেন্ট’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী মহারাষ্ট্রে খরার মধ্যে আইপিএলের ক্রিকেট পিচে ৬০ লাখ লিটারের বেশি জল ঢালার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি জনস্বার্থ পিটিশন দিয়েছে। সে ব্যাপারেই এই নির্দেশ হাইকোর্টের।

 

বিসিসিআই আদালতকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছিল, মুম্বই ও পুনের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মুখ্যমন্ত্রীর খরাত্রাণ তহবিলে ৫ কোটি টাকা করে দেবে। তা সত্ত্বেও আদালত আইপিএলের ম্যাচ মহারাষ্ট্রে হতে দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। বিচারপতি ভি এম কানাড়ে ও বিচারপতি এমএস কার্নিকের ডিভিসন বেঞ্চ বলেছে, আমরা এ কথা মানছি যে, স্রেফ রাজ্য থেকে আইপিএল ম্যাচ সরানোটা সমাধান নয়। তবে মহারাষ্ট্রের ভয়াবহ খরা সংকট সমাধানে এটা একটা সূচনা হতে পারে। রাজ্যে অগণিত মানুষ জলাভাবে মরছে। তাদের দুর্দশা উপেক্ষা করতে পারে না এই আদালত।

 

মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলায় সাফাই ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবায় জল মিলছে না বলে উল্লেখ করে আদালত বলেছে, ক্রিকেট পিচ ঠিক  রাখতে স্টেডিয়ামে যে অপরিশোধিত জল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই জল ওই জেলাগুলিতে কাজ লাগানো যায়। এই পরিস্থিতিতে এটাই প্রত্যাশিত যে, বিসিসিআই, মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও বম্বে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ন নিজেরাই এগিয়ে এসে ম্যাচগুলি মহারাষ্ট্রের বাইরে সরিয়ে নেবে। কিন্তু, এমন কিছুই হয়নি, এটাই দুর্ভাগ্যের। মহারাষ্ট্রের বাইরে ম্যাচগুলি সরিয়ে নিতে বিসিসিআইকে নির্দেশ দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই এই আদালতের সামনে।

 

এদিকে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিসিআই সচিব অনুরাগ ঠাকুর উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, আইপিএল সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার চলছে। আমরা পানীয় জল ব্যবহার করছি না। আমরা জানিয়েছি, অপরিশোধিত জলই ব্যবহার করব। কটা পাঁচতারা হোটেলের সুইমিং পুল বন্ধ হয়েছে? লোকজন কি বাড়ির বাগানে জল দেওয়া বন্ধ করছে?

 

আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল বলেছেন, আইপিএল আয়োজন করা একটি বিরাট ব্যাপার। সহজ কাজ নয়। সব প্রস্তুতি সারা। এখন ম্যাচগুলি সরানো সমস্যা হবে।