জয়পুর: রাজস্থান হাইকোর্টে অব্যহতি পেলেন না যশ দয়াল। নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আরসিবির বাঁহাতি পেসারকে গ্রেফতার থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিতে চায়নি কোর্ট। বিচারপতি সুদেশ বনসালের সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাটি পর্যালোচনা করছে। আগামী ২২ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আর সেই দিনের মধ্যেই পুলিশকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরসিবির তারকা পেসার আগাম জামিনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
দয়ালের বিরুদ্ধে পকসো মামলায় রুজু করেছে পুলিশ। দু বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে সেই তরুণীকে। তবে প্রথমবার যখন ধর্ষণ করেছিলেন যশ, তখন তিনি নাবালিকা ছিলেন, তাই পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল বছর দুই আগে। সেই সময় জয়পুরে একটি ম্য়াচ খেলতে গিয়েছিলেন আরসিবি পেসার। তখন নাবালিকা থাকা সেই তরুণীর সঙ্গে জয়পুরেই দেখা হয়। তরুণীও ক্রিকেট খেলেন। সেই সূত্রে আলাপ-পরিচয় বাড়ে। ক্রিকেটের বিভিন্ন টিপস দেওয়ার নাম করে হোটেলে সেই তরুণীকে নাকি ডেকেছিলেন যশ। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন যশ, এমনই অভিযোগ।
উল্লেখ্য, আইপিএলে আরসিবির জার্সিতে নজরকাড়া পারফরম্য়ান্স করেছেন গত মরশুমে। দলকে চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন টুর্নামেন্টে। দেশের অন্য়তম সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হিসেবে ভাবা হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে যশের গত ৬ জুলাই। সেদিন গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরম থানায় বাঁহাতি পেসারের নামে এফআইআর হয়। অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে আলাপ তারপরে বিবাহের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাকি তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। যেই তরুণী অভিযোগ করেছিলেন যশ দয়ালের নামে, তিনি এমনটাও জানিয়েছিলেন যে যশ নাকি অন্য মহিলার সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন। আইপিএলে ১২ ম্য়াচ খেলে ১৩ উইকেট নিয়ে্ছিলেন গত মরশুমে আরসিবির হয়ে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এক বড় ধাক্কা এসেছিল যশের। তবে আপাতত এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই বিষয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। এখনই গ্রেফতার করা হচ্ছে না যশকে।
গত আইপিএল আরসিবির জার্সিতে জেতার পর যশের কেরিয়ার সবে ওঠাই শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঠের বাইরের এই বিতর্ক তাঁকে নিঃসন্দেহে মাঠের লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে দেবে। যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই দোষী প্রমাণিত হন এই বোলার, তাহলে কিন্তু কড়া শাস্তিও হতে পারে দয়ালের।