কলকাতা: গতকালই কোনঠাসা পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিল বাংলা ক্রিকেট দল (Bengal Cricket Team)। মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনাল (Semifinal)। বাংলা বোলারদের পিটিয়ে প্রথম দিনেই বিশাল স্কোর বোর্ডে তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল প্রতিপক্ষ শিবির। দ্বিতীয় দিনে যখন মধ্যপ্রদেশ অল আউট হল, তখন স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে ৩৪১ রান। শেষ চারের লড়াইয়ে নেমে প্রথমে ব্যাট করে এত বড় রান বোর্ডে। প্রতিপক্ষ যে কোনও শিবিরের মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আগের দিন শতরানকারী হিমাংশু মন্ত্রী এদিনও খেললেন চেনা মেজাজই। ১৩১ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজ ছেড়েছিলেন আগের দিন। এদিন মুকেশ কুমারের বলে ক্যাচ আউট হয়ে যখন ফিরছেন, তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৬৫ রান। ১৯টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে কেরিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় ইনিংসটি খেলে নিলেন হিমাংশু।


মুকেশের ৪, শাহবাজের ৩, মধ্যপ্রদেশ ৩৪১


আগের দিন খেলা শেষের সময় ২৭১/৬ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ। এদিন সকালে দীর্ঘ সময় ধরে দলের ২ মূল পেস অস্ত্র আকাশদীপ (Akashdeep) ও মুকেশকে দিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করেন বাংলা অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। কিন্তু কেউই উইকেট তুলতে পারছিলেন না। মাঝখান থেকে লোয়ার অর্ডারে নেমে পুনিত দাতেও চালিয়ে খেলা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত শাহবাজ আহমেদ এসে এই জুটি ভাঙেন। তবে ততক্ষণে তিনশোর ওপর রান তুলে ফেলেছে মধ্যপ্রদেশ। শাহবাজের (Shahbaaz) বলে অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৩ রানে আউট হন পুনিত। এরপর মুকেশ কুমারের শিকার হন হিমাংশু। লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে টানা সম্ভব হবে না ভেবে চালিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি। বাকি ২ টো উইকেট ভাগ করে নেন মুকেশ ও শাহবাজ। 


বাংলার বোলারদের মধ্য়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মুকেশ। ২০ ওভারে ৮৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শাহবাজ আহমেদ। ২ উইকেট নেন আকাশদীপ ও ১টি উইকেট পান প্রদীপ্ত প্রামাণিক। 


আরও পড়ুন: 'বসে নিজের ফর্ম নিয়ে একটু ভাবো', পন্থকে পরামর্শ গাওস্করের