উল্লেখ্য, রাঁচিতে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন কোহলি। দুই দেশের তিক্ত সিরিজের শেষ টেস্টে চোটের কারণেই খেলতে পারেননি। ড্রেসিংরুমে থাকলেও মাঠেই মন পড়েছিল কোহলির। দলের খেলোয়াড়দের জন্য মাঠে জল বয়ে নিয়ে আসাই হোক বা ড্রেসিংরুম থেকেই উত্সাহদানের চেষ্টা করে গিয়েছেন কোহলি। তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি কেউ।
দুই দলের তিক্ততম সিরিজের মধ্যে আগে থেকেই কোহলি অসি শিবিরের নিশানায় ছিলেন। এরইমধ্যে চোট নিয়ে কোহলির দায়বদ্ধতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন হজ। তিনি বলেছিলেন, ক্রীড়িবিজ হিসেবে আশা যে, কোহলির চোট গুরুতর। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের নির্ণায়ক টেস্ট ম্যাচে সামনে থেকে কোহলি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে না। পরের সপ্তাহে বিরাট আরসিবি-র হয়ে চিন্নাস্বামীতে নেমে পড়লে দৃশ্যটা কিন্তু মোটেও সুখকর হবে না।
হজের এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বাঁধে। হজের সমালোচনায় মুখর হন অনেকেই। তোপের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইলেন হজ। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের মন্তব্যের ফলে হজের আইপিএলে গুজরাত লায়ন্সের কোচিংয়ের চাকরিতেও ছুটি হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই নিজের ট্যুইটার পেজে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন তিনি। হজ বলেছেন, আমার মন্তব্যের জন্য ভারতের মানুষ, ক্রিকেট অনুরাগী, ভারতের ক্রিকেট দল এবং বিশেষ করে কোহলির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
হজের সাফাই, তাঁর মন্তব্য কারুর অবমাননা, ক্ষতি করা বা সমালোচনার জন্য ছিল না।