সহবাগ লিখেছেন, ‘আমাকে টপ অর্ডারে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দাদার বড় ভূমিকা ছিল। ও একদিন আমাকে হঠাৎ ওপেন করতে বলে। আমি সে কথা শুনে বলি, ‘তুমি ওপেন করছো না কেন?’ তুমি ওপেন করো, সচিন তেন্ডুলকরও ওপেন করে। দাদা আমাকে বোঝায়, ওপেনারের জায়গা ফাঁকা আছে। তাই আমি ওপেন করলে দলে জায়গা পাকা। কিন্তু আমি তারপরেও মিডল অর্ডারেই ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তে অটল থাকি। তখন দাদা আমাকে বলে, মিডল অর্ডারে সুযোগ পেতে গেলে কারও চোট পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হবে। কিন্তু ওপেন করলে আমি তোমাকে সফল হওয়ার জন্য তিন-চারটি ইনিংস দেব। তারপরেও যদি তুমি ব্যর্থ হও, তাহলেও খেলার সুযোগ পাবে। বাদ দেওয়ার আগে তোমাকে মিডল অর্ডারে একবার সুযোগ দেব। সে কথা শুনে আমি ওপেন করতে রাজি হই।’
সহবাগ আরও লিখেছেন, ‘আমার প্রতি ন্যায়বিচার করেছিল দাদা। এরকম স্বচ্ছতা থাকলে একজন খেলোয়াড় তাঁর অধিনায়কের প্রতি আস্থা রাখতে পারে। দাদার কথা শুনে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল, দাদা যখন আমার পাশে আছে, তখন ওপেন করেই দেখা যাক। আমি আজ যে জায়গায় পৌঁছেছি, সেটা দাদার জন্যই সম্ভব হয়েছে। দাদাই আমাকে বদলে দিয়েছিল।’