বিশাখাপত্তনম: রাজ্য দলের নেতৃত্ব ছাড়তে হয়েছিল চাপের মুখে পড়ে। তাও আবার দলেরই জুনিয়র ক্রিকেটারের রাজনীতিক বাবার শাসানিতে অ্য়াসোসিয়েশনের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল। গতকালই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন হনুমা বিহারি। দেশের জার্সিতে ১৬ টেস্ট খেলা ডানহাতি ব্যাটার তাঁর রাজ্য দল অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের দিকেও আঙুল তুলেছিলেন। এমনকী এও জানিয়েছিলেন যে আর এই রাজ্যের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলবেন না তিনি। এরপরই এবার নিজেই সর্বসমক্ষে এসে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন যেই ক্রিকেটারকে নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে সেই প্রুধভিরাজ। হনুমার তোলা সব অভিযোগই মিথ্যে বলে নিজের সোশ্য়াল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে স্টোরি পোস্ট করেছেন তরুণ ক্রিকেটার। তিনি লিখেছেন, ''নমস্কার বন্ধুরা, আমিই সেই ছেলে, যাকে আপনারা সবাই কমেন্ট বক্সে খুঁজছেন। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই মিথ্যে। কোনও প্লেয়ারই খেলার থেকে বড় হতে পারে না। তবে ব্যক্তিগত সম্মানটা অনেক বেশি জরুরি। সেদিন কী হয়েছিল দলের সবাই জানে। সিমপ্যাথি গেমস খেলে যাও।''


 






গতকালই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় হনুমা অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁকে অপদস্থ করা হয়েছে। রঞ্জিতে বাংলার বিরুদ্ধে ম্য়াচ চলাকালিন এমনটা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বিশাখাপত্তনমে যে ম্যাচে বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসের লিড নেওয়ার সুবাদে ৩ পয়েন্ট অর্জন করেছিল অন্ধ্র প্রদেশ। রঞ্জি ট্রফির হাড্ডাহাড্ডি কোয়ার্টার ফাইনালে মধ্য প্রদেশের কাছে মাত্র ৪ রানে হেরে বিদায় নেয় অন্ধ্রপ্রদেশ। প্রথমবারের জন্য রঞ্জি সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল অন্ধ্র প্রদেশের। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াকু ৫৫ রান করেন হনুমা। তাতেও দলকে জেতাতে পারেননি। এরপরই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে হনুমা লেখেন, ''বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আমি দলের অধিনায়ক ছিলাম। সেই ম্যাচ চলাকালিন আমি দলের ১৭তম সদস্যকে বকাঝকা করেছিলাম। তাতে সেই ক্রিকেটার তার বাবাকে অভিযোগ করে। তার বাবা একজন রাজনীতিবিদ। তিনি অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাকে আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলেন। সেই ম্যাচে আমরা গতবারের ফাইনালিস্ট বাংলার বিরুদ্ধে ৪১০ রান তাড়া করে লিড নেওয়ার পরেও নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়। আমার কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও।''