চেন্নাই: ঘরের মাঠে গতকাল গুজরাত টাইটান্সকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে আরও একবার ট্রফি জয়ের থেকে মাত্র ১ ম্যাচ দূরে সিএসকে। ক্যাপ্টেন হিসেবে আরও একটি সাফল্য পাওয়ার হাতছানি। কিন্তু নিজেকে ক্যাপ্টেন হিসেবে কত নম্বর দেবেন ধোনি? নম্বর তো ছাড়ুন, ধোনির উত্তর চমকে দিতে পারে আপনাকেও।


কী বলছেন ধোনি?


তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা ক্রিকেট বিশ্বে কারও আছে বলে জানা নেই। তবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নিজে মনে করেন যে হয়ত অত্য়ন্ত বিরক্তিকর ক্যাপ্টেন হতে পারেন এমএসডি। গতকাল গুজরাতকে হারানোর পর ধোনি বলেন, ''উইকেট দেখে, পরিস্থিতি বুঝে ফিল্ড প্লেসমেন্ট করতে হয়। আমি হয়ত ভীষণ বিরক্তিকর অধিনায়কও হতে পারি, কারণ আমি একটু পর পরই ফিল্ডারদের কখনও ডানদিক বা কখনও বাঁদিকে সরতে বলি। আর সেটা প্রতিনিয়ত হতেই থাকে গোটা ম্যাচে। তাই অনেকেই এতে বিরক্ত হতে পারে।''


ধোনি আরও বলেন, ''ফিল্ডারদের আমার দিকে তাকাতে বলি আমি সবসময়। ধরে নিন যে আপনি ফিল্ডিং করছেন, আর প্রতি দু বল বা তিন বল পরে যদি আপনাকে ডানদিক বা বাঁদিকে সরতে বলি, তবে তা সত্যিই ভীষণ বিরক্তিকর। কিন্তু আমি আমার মনের কথা শুনি। উইকেট ও বোলিংয়ের লাইন এগুলো দেখে বোঝার চেষ্টা করি যে কোন পজিশনে কোন ফিল্ডারকে রাখা ঠিক হবে।''


মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মগজাস্ত্রেই কি ঘায়েল হল গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স? কোয়ালিফায়ার ওয়ানে গুজরাত টাইটান্সকে ১৫ রানে চেন্নাই সুপার কিংস হারিয়ে দেওয়ার পর থেকে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে ধোনির মগজাস্ত্রের ধার নিয়ে আলোচনা।


বিশেষ করে যেভাবে ক্যাপ্টেন কুল মাথিশা পাথিরানাকে নিয়মের জাঁতাকল এড়িয়ে বল করান, তা দেখে মুগ্ধ অনেকে। ঠিক কী হয়েছিল? গুজরাত টাইটান্স ইনিংসের ১৬তম ওভার। চেন্নাই সুপার কিংসের রান তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভারের শেষে তখন গুজরাতের স্কোর ১০২/৬।


ম্যাচ জিততে তখনও ৩০ বলে ৭১ রান চাই গুজরাতের। ক্রিজে বিজয় শঙ্কর ও রশিদ খান। মাথিশা পাথিরানাকে বল করতে ডাকেন ধোনি। কিন্তু বাধা দেন আম্পায়াররা। তার আগেই কিছুক্ষণ মাঠের বাইরে ছিলেন পাথিরানা। নিয়ম অনুযায়ী, একজন ক্রিকেটার যতক্ষণ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন, মাঠে ফেরার পর ঠিক ততটা সময় না কাটালে তাঁকে বল করানো যাবে না। সেই নিয়ম ধোনিকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়।


আম্পায়ারদের সঙ্গে আলোচনা করতে শুরু করেন ধোনি। বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, পাথিরানাকে বল করানোটা জরুরি। কেন শ্রীলঙ্কার পেসারকে বল করানো যাবে না, বারবার জানতে চান। খেলা প্রায় মিনিট চারেক বন্ধ থাকে। তারপরই দেখা যায়, যে সময় মাঠের বাইরে ছিলেন পাথিরানা, সেই সময় তিনি মাঠে কাটিয়ে ফেলেছেন। ফলে তাঁর আর বল করতে কোনও বাধা নেই।


পাথিরানাকে বল তুলে দেন ধোনি। পরের ৩ ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন শ্রীলঙ্কার পেসার। ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ১৫ রানে ম্যাচ জেতে সিএসকে।