য়েহায়দরাবাদ: ব্রেন্ডন ম্য়াকালাম ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে বাজবল থিয়োরি বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে। টেস্ট ফর্ম্য়াটে ওয়ান ডে-র স্টাইলে ক্রিকেট। যা থেকে বেশ সুফলও পেয়েছে ইংল্যান্ড দল। ভারত সফরে পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজেও বাজবল থিয়োরি কি ভারতের কাঁটা হতে চলেছে? রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য তা নিয়ে বেশি ভাবছেনই না। বরঞ্চ দলের ছেলেদের তিনি বার্তা দিয়েছে ম্য়াচের পরিস্থিতি বুঝে খেলতে।
সাংবাদিক বৈঠকে এসে দ্রাবিড় বলেন, ''ওদের খেলা দেখতে বেশ উপভোগ্য লাগছে এবং এতে ওরা সাফল্যও পাচ্ছে। তাহলে ওরা কেন ওরকম খেলবে না? তবে আমরা জানি, এখানকার পরিবেশে ওরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এইসব পরিবেশ আমরা খুব ভালো করে চিনি। আমাদের আক্রমণে প্রচুর অভিজ্ঞতাও রয়েছে।''
বাজবল বা আগ্রাসী ব্য়াটিংয়ের পাল্টা হিসেবে ভারত কেমন খেলবে, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে দ্রাবিড় বলেন, আলট্রা-অ্যাটাকিং বা অতিরিক্ত আগ্রাসী হওয়ার দরকার পড়বে না। তবে আমাদের প্রথম ছয়-সাতজন ব্যাটার পজিটিভ ক্রিকেট খেলেন। ফলে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকার মতো পরিস্থিতি না হলে এই ব্যাটাররা যে তাঁদের স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ে রদবদল ঘটিয়ে পিছু হঠবেন, তেমন সম্ভাবনা দেখছেন না দ্রাবিড়।
কেএস ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে দলের অঙ্গ হলেও, ঋষভ পন্থ, ঈশান কিষাণদের অনুপস্থিতিতে টেস্টে প্রথমবার কেএল রাহুলকে দস্তানা হাতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এমনটা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসাবেই রাহুল সিরিজ়ে খেলতে চলেছেন বলে জানিয়ে দিলেন ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। ইংল্যান্ডের বিরদ্ধে ভারতীয় দলে ভারতের পাশাপাশি, ধ্রুব জুরেলও সুযোগ পেয়েছেন। দুই বিশেষজ্ঞ কিপারের মধ্যে একজনকেই সিরিজ়ে ভারতের হয়ে কিপিং করতে দেখা যাবে।
ভারতের অনুশীলন সেশনে দ্রাবিড় মঙ্গলবার বলেন, 'রাহুল এই সিরিজ়ে কিপার হিসাবে খেলবে না এবং আমরা সেটা দলের নির্বাচনের সময় স্পষ্টভাবেই মাথায় রেখেছিলাম। রাহুল দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের হয়ে দারুণ পারফর্ম করে আমাদের সিরিজ় ড্র করতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু দলে তো আমরা দুইটো কিপার নিয়েছি। তবে এই পরিবেশে, পরিস্থিতিতে পাঁচ ম্যাচের লম্বা টেস্ট সিরিজ়ের কথা মাখায় রেখেই নির্বাচনটা বাকি দুই কিপারের মধ্যেই হবে।'
এই সিরিজ়েই আবার ভারতীয় দলের দুই মহাতারকা রোহিত শর্মা এবং আর অশ্বিনের সামনে বিরাট রেকর্ড গড়ার হাতছানি রয়েছে। রোহিত শর্মা আর তিনটি শতরান হাঁকালেই ৩০ বছরের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতীয় হিসাবে সর্বাধিক ৩৬টি শতরান হাঁকানোর কৃতিত্ব নিজের নামে করে ফেলবেন।