ভুবনেশ্বর কুমার হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় প্রথম একাদশে সুযোগ পান শামি। চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে হ্যাট্রিক সহ চারটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
শেষ ১২ বলে আফগানিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলল ২১ রান। কিন্তু ৪৯ তম ওভারে কৃপণ বোলিং করেন বুমরাহ। ওই ওভারে মাত্র পাঁচ রান আসে। সেজন্য শেষ ওভারে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের।
বিসিসিআই টিভি-কে শামি বলেছেন, আমার আস্থা ছিল যে, বুমরাহ খুব বেশি রান দেবে না। ভেতর থেকে আমার মনে হচ্ছিল ১৬ রান যথেষ্ট। এরফলে আমি আমার পরিকল্পনা রূপায়ণের সুযোগ পাই। এর থেকে কম কিছু হলে আমি আমার পরিকল্পনা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে যেতাম।
১৯৮৭-র বিশ্বকাপে প্রথম ভারতীয় হিসেবে হ্যাট্রিক করেন চেতন শর্মা। তারপর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এই নজির গড়লেন শামি। এ ব্যাপারে শামি বলেছেন, এটা খুবই ভালো অনুভূতি। হ্যাট্রিক করাটা বড় ব্যাপার, আর বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে হলে তো কথাই নেই। শেষ ওভারে আমাকে ১৬ রান ডিফেন্ড করতে হত। মনে হয়েছিল,আমার পক্ষে এটা যথেষ্ট।
অ্যাজেস বোলের স্লো উইকেটে বুমরাহর সঙ্গে বোলিং তিনি বেশ উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন শামি। তিনি বলেছেন, আমার বল সিম করছিল, তাই আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম। মাঝের ওভারগুলিতে আমরা একটু বেশি রান দিয়ে ফেলি। কিন্তু বিশ্বাস ছিল যে, শেষ ১০ ওভারে রাশটা নিজেদের হাতে নিতে পারব।