নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হিসেবে পরিচিত মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। উইকেটকিপিং, ফিল্ডিং বা বোলিং পরিবর্তন, চাপের মুখে রান আটকানো হোক অথবা দ্রুত রান তুলে দলকে জেতানো, কোনও সময়েই তাঁকে স্নায়ুর চাপে ভুগতে দেখা যায় না। তিনি খেলার সময় মেজাজও হারান না। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, ‘কেউ এ কথা বলে না, কিন্তু আমি যখন ব্যাট করতে যাই, প্রথম ৫-১০ বল খেলার সময় হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। আমি চাপ অনুভব করি। আমার ভয়ও লাগে। সবারই এরকম অনুভূতি হয়। এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই আসল বিষয়। কিন্তু কীভাবে এই চাপ সামলে ভাল পারফরম্যান্স দেখাব? এটা সামান্য ব্যাপার। কিন্তু অনেক সময়ই আমরা কোচকে এটা বলতে গিয়ে অস্বস্তিবোধ করি। সেই কারণেই যে কোনও খেলায় কোচের সঙ্গে খেলায়াড়ের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’


মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে ধোনি আরও বলেছেন, ‘ভারতে মানসিক দুর্বলতার বিষয়টি মেনে নিতে অনেকেরই অসুবিধা হয়। কিন্তু আমরা সাধারণভাবে এটাকে মানসিক রোগ বলে আখ্যা দিয়ে থাকি। ১৫ দিনের জন্য মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ থাকলে চলবে না। কারণ, ১৫ দিনে শুধু অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া যায়। কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ সবসময় থাকলে তিন বুঝতে পারেন সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের কোথায় সমস্যা হচ্ছে।’

ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, শুধু খেলা নয়, জীবনের সবক্ষেত্রেই মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান এ বদ্রীনাথ ও সর্বন কুমার খেলায়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। ১০ মে স্টার স্পোর্টস ওয়ান তামিলে প্রথম অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে। ধোনি, বিরাট ছাড়াও রবিচন্দ্রন অশ্বিন খেলায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন।