শারজা: বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমেছিল দল। শেষদিকে আস্কিং রেট অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ক্রিজে আসার পর শুরুতে কিছুতেই ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না। তবে সঞ্জু স্যামসন ফিরে যাওয়ার পর ১৮-তম ওভারে শেল্ডন কট্রেলের বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে রাজস্থান রয়্যালসের জয় নিশ্চিত করলেন রাহুল তেওয়াটিয়া।


দলকে জেতানোর পর এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান বলছেন, ‘এখন আমার ভাল লাগছে। প্রথম ২০টি বল আমার খেলা সবচেয়ে খারাপ বল। নেটে আমি ভালভাবেই ব্যাটে-বলে করছিলাম। তাই নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। কিন্তু শুরুর দিকে যখন ঠিকমতো শট খেলতে পারছিলাম না, তখন দেখছিলাম ডাগআউটে সবাই কৌতূহলী হয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে। কারণ, ওরা জানত, আমি ভালভাবে শট খেলতে পারি। একটা ছক্কা মারার পরেই ছন্দ পেয়ে যাই। এক ওভারে পাঁচটা ছক্কা মারা দারুণ ব্যাপার। লেগ-স্পিনারের বলে ছক্কা মারার জন্য আমাকে পাঠিয়েছিলেন কোচ। আমি সেটা করতে পারিনি। শেষপর্যন্ত অন্য একজন বোলারের বলে ছক্কা মারি।’

এক রাহুলে ম্লান হয়ে গেলেন অন্য এক রাহুল। তেওয়াটিয়ার এই ইনিংস কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের দুই ওপেনার ময়ঙ্ক অগ্রবাল (১০৬) ও কে এল রাহুলের (৬৯) দুর্দান্ত ইনিংসকে ছাপিয়ে গেল।

হারের পর কে এল তাই বলছেন, ‘এটা টি-২০ ক্রিকেট। এই ফর্ম্যাটে এরকম হতেই পারে। আমরা ভাল খেলেছি। মাথা সোজা রেখে পরের ম্যাচে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে হবে। আজ আমাদের অনেককিছুই ঠিকঠাক হয়েছে, অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে এই ম্যাচ থেকে। দারুণ ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমার মনে হয়েছিল, ম্যাচ আমাদের পকেটে। কিন্তু শেষদিকে ওরা ভাল ব্যাটিং করে আমাদের বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তার ফলে আমাদের বোলাররা ভুল করে ফেলে। একটা খারাপ ম্যাচ হতেই পারে। আগের দুটো ম্যাচে ওরা ভাল খেলেছে। প্রতিযোগিতার শুরুর দিকে একটা খারাপ দিন একদিকে ভাল। এর ফলে ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া যায়। সঞ্জু স্যামসন ও রাহুল তেওয়াটিয়া দারুণ খেলেছে। ওদের জয় প্রাপ্য ছিল।’