Manoj Tiwary: ''বিরাট, রোহিতের মত দক্ষতা আমারও ছিল..'', ধোনিকে একহাত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মনোজ

Manoj On Dhoni: বাংলার জার্সিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করেছেন। এমনকী তিনি এমনও জানিয়েছেন যে বিরাট ও রোহিতের মত সম দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পাননি।

Continues below advertisement

কলকাতা: ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। বাংলার জার্সিতে শেষ ম্য়াচে খেলতে নেমেছিলেন চলতি রঞ্জিতে বিহারের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens)। ঘরের মাঠ থেকেই ২২ গজকে বিদায়। কিন্তু বিদায়লগ্নেও মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) বারবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁর জাতীয় দলে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়া নিয়ে। বোর্ডের রাজনীতি নিয়েও মুখ খুলেছিলেন। এবার ধোনির একহাত নিলেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। এমনকী তিনি এমনও জানিয়েছেন যে বিরাট ও রোহিতের মত সম দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পাননি।

Continues below advertisement

কলকাতা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মনোজ বলেন, ''আমি অবশ্যই ধোনিকে প্রশ্ন করতে চাই যে ২০১১ সালে সেঞ্চুরি পাওয়ার পর আমাকে কেন দল থেকে বাদ দেওয়া হল। আমার মধ্যেও বিরাট, রোহিতের মত দক্ষতা ছিল। কিন্তু সুযোগ পেলাম না পর্যাপ্ত। এখন যখন দেখি যে অনেক প্লেয়ারই অনেক বেশি সুযোগ পাচ্ছে, তখন সত্যিই খুব খারাপ লাগে। দুঃখ হয়।''

রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন ছিল মনোজের। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে গিয়েছে। বাংলার জার্সিতে ১৪৮ ম্য়াচে ১০ হাজার রান করেছেন। দেশের জার্সিতে মাত্র ১২টি ওয়ান ডে ম্য়াচ খেলেছেন। রান করেছেন ২৮৭। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একমাত্র সেঞ্চুরি রয়েছে। যদিও এরপরই ১৪টি ম্য়াচে তাঁকে দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। সেই সময় অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। স্বভাবতই ধোনির ওপর ক্ষোভ উজার করে দিয়েছেন মনোজ। ধোনির নেতৃত্বে পরবর্তীতে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস দলের হয়ে আইপিএলেও নেমেছেন মনোজ।

২০১৫ সালে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে রঞ্জি ম্য়াচে ঝামেলায় জড়ান মনোজ। সেই স্মৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ''ওই একটি ঘটনা আমাক এখনও হতাশ করে দেয়। আমি কখনও আমার সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। আমাকে যাঁরা চেনেন তাঁরা জানেন আমি একেবারেই শর্ট টেম্পার্ড মানুষ নই। ওই একটা ঘটনার ফলে মানুষ আমাকেও ভুল বুঝেছিল।''

ঋদ্ধিমান সাহা এখন বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরার হয়ে ক্রিকেট খেলেন। মনোজের একসময়ের সতীর্থ ছিলেন। রবিবার মনোজের বিদায়ী সংবর্ধনায় ঋদ্ধির কোনও বার্তাও আনাতে পারেনি সিএবি। ঋদ্ধি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মনোজকে অবসরোত্তর জীবনের শুভেচ্ছা জানান। মনোজ অবশ্য ঋদ্ধিকে নিয়ে আবেগে ভাসছেন। বলছেন, ''ঋদ্ধিকে না পাওয়ার আক্ষেপ বাংলার অধিনায়ক হিসাবে থেকে যাবে। রঞ্জি অভিযানে ঋদ্ধিকে প্রয়োজন ছিল বাংলার।'' মনোজের আক্ষেপের কথা কি ধোনি বা ঋদ্ধি পর্যন্ত পৌঁছল?

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola