কলকাতা: গতকাল ইডেনে বল হাতে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন ভারতের পেসার ভূবনেশ্বর কুমার। সেই আঘাত থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অসি ব্যাটসম্যানরা। প্রথম স্পেলে ভূমি পেস আর সুইংয়ের মিশ্রনে নাস্তানাবুদ করেছেন ব্যাটসম্যানদের। তুলে নেন বিপক্ষের ডেঞ্জারম্যান ডেভিড ওয়ার্নার সহ দুটি উইকেট। শেষপর্যন্ত তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৬.২-২-৯-৩। এমন চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের পর ভূবনেশ্বর বলেছেন, কীভাবে সুইং করাতে হয়, তা জানতাম। আর এখন আমার বলে গতিও আনতে পেরেছি।


ম্যাচের পর সাক্ষাত্কার দিতে দিয়ে ভূবির খোলামেলা স্বীকারোক্তি, যখন প্রথম দলে এসেছিলাম তখন সুইং বলের আদর্শ পরিবেশ আমার দরকার হত। অভিষেক হওয়ার এক বছর পর পেস বাড়াতে চাইছিলাম। কিন্তু কীভাবে তা করতে হবে, কোনও ধারনাই ছিল না।

বোলিং গতি আনতে পারার কৃতিত্ব ভূবি স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ শঙ্কর বসুকে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শঙ্কর বসু তাঁর জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেন। এরফলে তিনি তাঁর বোলিংয়ে গতি বেড়েছে যা, ডেথ ওভারগুলিতে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করেছে।

গতকালের ম্যাচের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ভূবনেশ্বর বলেছেন, প্রথম বলটা করার পরই বুঝেতে পেরেছিলেন যে উইকেট সুইংয়ের পক্ষে উপযোগী।

ইডেনে সাধারণত সকাল ও সন্ধেয় বল সুইং হয়।

ভূবি বলেছেন, ওয়ার্নারকে আউট করতে তিনি আউটসুইঙ্গারকে হাতিয়ার করেছিলেন। সেই ফাঁদেই পা দিয়ে আউট হন ওয়ার্নার।

ভূবনেশ্বর বলেছেন, আইপিএলে হায়দরাবাদ সাইরাইজার্সে একসঙ্গে খেলায় তাঁর ওয়ার্নারের দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না। তা রূপায়ণও করতে হবে।

ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২৫২ রান করেছিল। ভারতীয় উইকেটে এই রান খুব একটা বেশি নয়। এ ব্যাপারে ভূবি বলেছেন, স্কোর হয়ত বেশি ছিল না। কিন্তু ড্রেসিংরুমে সে কথা কারুর মনেও হয়নি। সবাই জেতার কথাই ভাবছিল। তাঁরা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখেন। এটাই শেষপর্যন্ত ফারাক গড়ে দেয়।

ভূবি আরও বলেছেন, ব্যাটিংটা তিনি এমনিতেই করতে পারেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচের ইনিংসটা তাঁকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।